ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
কথা ছিল চৌরাস্তার বাড়িতে আড্ডা দেওয়ার ফাঁকে ফোটোশ্যুট হবে। হঠাৎ মেঘ। দুমদাম বৃষ্টি। খালি পায়ে সিঁড়ি পেরিয়ে পেরিয়ে তিনি খোলা আকাশের কাছে। উড়ছে চুল, ভিজছে শরীর... মুছে যাচ্ছে সব ক্লান্তি। রাগ। ভিজতে ভিজতে হঠাৎ হাও়ড়ার বাড়ির কথা বলতে শুরু করলেন…
হাও়ড়ার বাড়ি হঠাৎ ছেড়ে দিলেন?
আমার বিয়ে হল সাতানব্বই সালে। তারপর থেকেই বেহালা চৌরাস্তায়। হাওড়া ছেড়েছি কিন্তু বেহালা কোনও দিন ছাড়ব না। কারণ এখানেই আমার শিকড়।
হাওড়ার সেই মেয়ে যে কিনা এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য পাগল ছিল সে কি কোনও দিন ভেবেছিল ছবিতে প্রসেনজিৎ-এর বুকে মাথা রাখবে?
(চোখ উদ্ভাসিত) ছোট থেকে বুম্বাদা আর আমির খানের ছবিতে ভর্তি ছিল আমার ঘর। একবার বাড়িতে তেল মেখে স্নান করছি, এমন সময় শুনি অবসরের মাঠে প্রসেনজিৎ এসেছে! ভিড়ে ভিড়াক্কার, পাঁচিলে উঠলাম। পা কেটে গেল। তবু দেখতে পেলাম
না প্রসেনজিৎকে! ‘প্রাক্তন’-এর শ্যুটে বুম্বাদার বুকে মাথা রেখে যখন শট দিচ্ছি, তখন কেবল ওই ছবিটা ভেসে উঠছিল।
(চিক চিক করে উঠল চোখ) বুম্বাদাও ‘প্রাক্তন’-এ আমার অভিনয় দেখে বলেছে আজও আমাদের দেশে এমন জাত অভিনেতা আছে। এটাই আমার পাওয়া।
অথচ শোনা যায় এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অনেক ছবি থেকে আপনাকে বাদ দিয়েছিলেন?
এটা পুরোটাই ইন্ডাস্ট্রির রটনা। তবে এটাও ঠিক বুম্বাদা যদি কোনও কিছু থেকে আমায় বাদ দিয়ে থাকেন, সেটার যথেষ্ট কারণ ছিল। আমি তখন নিউকামার। কেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হিরো আনকোরা একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে চাইবেন? কই ‘প্রাক্তন’ করার সময় তো কোনও অসুবিধে হয়নি!
অপরাজিতা আঢ্য এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম। কিন্তু আপনি নাকি এক সময় চূড়ান্ত হতাশায় ভুগছিলেন?
(বৃষ্টি ততক্ষণে ধরে এসেছে, কিছুক্ষণ চুপ। আবার ফিরে গেলেন কথায়।) সে একটা সময় ছিল ২০১০-১১ সাল সম্ভবত। মনে হচ্ছিল বাড়িতে, কাজে সব জায়গায় আটকে যাচ্ছি। সকলে বলত আমি ভাল অভিনয় করি। অথচ, সে রকম কাজ পাচ্ছিলাম না। পি আর ছিল না বলে মিডিয়াও আমায় কোনও দিন পাত্তা দেয়নি।
ডিপ্রেশন গেল কীসে?
অবধূত বাবা শিবানন্দজি-র সন্ধান পেলাম। বুঝলাম আমার জীবনে ভাল-খারাপ যা কিছু, সবটার জন্য আমি দায়ী। আর যে গাছ ফুল দেবে, ফল দেবে, সে সবচেয়ে বেশি ঢিলও খাবে। ব্যস, তারপর আর ফিরে তাকাইনি।
শুনেছি একটা সময় ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচালকরা চাইলেও প্রযোজকেরা আপনাকে ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন। নায়িকারা মেক আপ রুমে ঢুকতে দিতেন না। নায়করাও একসঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। সত্যি?
হ্যাঁ, সত্যি।
আপনাকে তা হলে নিরন্তর স্ট্রাগল করতে হয়েছে?
হ্যাঁ। গাছের তলায় দিনের পর দিন বসে থেকেছি, ওখানেই মেক আপ করেছি। কমন টয়লেট ইউজ করতে বাধ্য হয়েছি। তখন ড্রেসার শিবুদা ওঁর ঘরে নিয়ে গিয়ে বসাতেন। বলতেন ধৈর্য ধর। খেলা একদিন পাল্টাবেই। এখন জানি যে চরিত্রই পাবো দারুণ অভিনয় করব। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।
শিবুদা কি ‘প্রাক্তন’ দেখেছেন?
এখনও দেখেনি। খুব শিগগির দেখবে।
তা হলে আপনার জীবনে দু’জন ‘শিবু’। একজন শিবু। আরেকজন শিবপ্রসাদ। দু’জনেই আপনার পাশে থেকেছেন?
হ্যাঁ। দেখুন শিব (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়), নন্দিতাদি (রায়), অতনুদা (রায় চৌধুরী) না থাকলে সিনেমাতে এই জায়গাটা পেতাম না। কিন্তু সিনেমা ছাড়া আমি যে সম্মান,অর্থ , ভালবাসা পেয়েছি তা কিন্তু টেলিভিশনের জন্যেই। সেটা কোনও দিন ভুলব না।
প্রিমিয়ারের দিন থেকে সবার মুখে শুধু মলির সংলাপ। ফেসবুক, ট্যুইটারে মলিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত মানুষ…
আসলে কী জানেন, শিব আমাকে ভেবে ‘মলি’ চরিত্রটা লিখেছিল। এটা একটা বড় পাওয়া। আমি ‘প্রাক্তন’-এ অভিনয় করিনি। অজস্র টেক্সট মেসেজ পেয়েছি, তাতে সকলে লিখেছেন মলিকে তাঁদের ভীষণ মনে ধরেছে। শিব আর নন্দিতাদিকে অনেক ধন্যবাদ। ওঁদের বলতে চাই— আমারে তুমি অশেষ করেছ!
আপনার স্বামী ‘প্রাক্তন’ দেখেছেন?
(একগাল হেসে) ওর খুব ভাল লেগেছে। এমনকী ‘বেলাশেষে’র চেয়ে ‘প্রাক্তন’ ওর বেশি ভাল লেগেছে।
পোস্ট ‘প্রাক্তন’ জায়গাটা এখন কেমন? শোনা যাচ্ছে শুধুমাত্র অপরাজিতা আঢ্যর কথা ভেবেই নাকি ভেঙ্কটেশ ছবি করার কথা ভাবছে? যশরাজ ছাড়া আর কোনও বড় ব্যানারের ছবির ডাক এসেছে মুম্বই থেকে?
হ্যাঁ, মুম্বইতে আর একটা বড় কাজের কথা চলছে। এখন বলার মতো জায়গায় নেই। ফাইনাল হলে আনন্দ plusকেই জানাব। ভেঙ্কটেশের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে। আর রাজ চক্রবর্তীর ছবিতেও কাজ করার কথা আছে। রাজের ছবির চরিত্রটা খুব ইন্টারেস্টিং। এর বেশি কিছু এখন বলা যাবে না।
তুমি যাকে ভালবাস...
‘ইরোস’-ও নাকি শুধু অপরাজিতা আঢ্যর জন্য ছবি করতে চাইছে?
হ্যাঁ, শিব আমাকে ‘ইরোস’-এর কথা বলেছে। তার আগে মন দিয়ে যশরাজ প্রোডাকশনের কাজটা করতে চাই।
১৯ বছর লেগে গেল ইন্ডাস্ট্রির বুঝতে যে শুধুমাত্র অপরাজিতা আঢ্য একা একটা ছবি টানতে পারেন? লোকে বলছে আপনি নাকি তরুণ মজুমদারের ছবির সেই অনুপ কুমার? যাঁর অভিনয় নিয়ে আলোচনা করতে করতে লোকে হল থেকে বেরোত...
(খুব হেসে) অনুপ কুমার ছিলেন জাত অভিনেতা। কোনও তুলনায় যেতে চাই না। তাই বলে, শুধু ‘প্রাক্তন’-এর পরে লোকে জানল যে অপরাজিতা আঢ্য ভাল অভিনয় করতে পারে, এমনটা নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে কম-বেশি সকলে জানত আমাকে কোনও চরিত্র দিলে সে যত ছোটই হোক আমি তাতে জান লড়িয়ে দেব। আমি কোনও দিন ছোট চরিত্র ভেবে মুখ ব্যাঁকাইনি বরং দু’গুণ এনার্জি নিয়ে কাজটা করেছি।
দেবশঙ্কর হালদার তো বলেন অপরাজিতা আঢ্য ছোট্ট একটা রোলে অভিনয় করলেও মনে হয় ও যেন নায়িকার রোল করছে। এই উৎসাহটাই ওকে এত দূর এনেছে…
দেবশঙ্করদার সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। দারুণ লাগে ওঁর সঙ্গে কাজ করতে। উফ কী অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ওঁর। তবে আপনি যে জনপ্রিয়তার কথা বলছেন সেটা সত্যি আমার অনেক দেরিতে এল। ‘বেলাশেষে’, ‘প্রাক্তন’-এর পর।
আপনি নাকি ‘বেলাশেষে’-তে অভিনয় করতে চাননি?
সত্যি তাই! শিব সটান আমার বাড়িতে হাজির হয়েছিল। একেবারে নাছোড়বান্দা। ‘বেলাশেষে’ করতেই হবে। অতনুদা বলেছিলেন শিব বলছে তবু ছবিটা করছ না? তুমি কি পাগল! আসলে আমি এত হিসেব করতে পারি না। ভাবতাম অনেক তো কাজ করলাম। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। জীবনে অনেক দারিদ্র দেখেছি। যা পেয়েছি সেটাই কি অনেক নয়!
যশরাজ প্রোডাকশনের ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’-তে আপনার ৩৬টা সিন। মুম্বইতে জার্নালিস্ট থেকে সাধারণ মানুষ ‘প্রাক্তন’ দেখার পর বলেছেন হু ইজ মলি? ওর আরও অভিনয় দেখতে চাই...
আসলে প্রাক্তন-এর গল্প আর সংলাপ এমনই যা সব ধরনের মানুষকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। ঋতুদি (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত)-বুম্বাদার (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) ম্যাজিকটাও লোকে খুব নিয়েছে। শ্যুটে তো দেখেছি, ঋতুদির কোনও রিঅ্যাকশনে বুম্বাদা কী অ্যাকশন দেবে সেটা দুজনেরই জানা। মনে হচ্ছিল না ওরা একসঙ্গে চোদ্দো বছর কাজ করেনি। শুনুন, ইন্ডাস্ট্রিতে লড়াই করে থাকা। সিনিয়রদের কাছ থেকে শেখা। সমালোচনা সহ্য করা। এগুলোর দরকার আছে। একটা ঘটনা বলি?
বলুন...
প্রোমো শ্যুট চলছে। একজন অভিনেত্রীকে বলেছিলাম তোমাকে দেখতে দারুণ লাগছে। কিন্তু তোমার দাঁতের স্ট্রাকচারটা ঠিক নয়। ছবিতে বাজে আসছে। স্কেলিং করিয়ে নাও। আমি তো জানি কোথায় কাকে কী বলতে হয়? ওমা, পরে শুনি সেই অভিনেত্রী সবাইকে বলে বেড়িয়েছে, ‘‘ও কী মাল, যে আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহস পায়?’’ ভাবুন!
আজকের ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্থিরতা নেই। একসঙ্গে শট দিতে গিয়ে দেখেছি ওদের কেউ কেউ সিনিয়রদের পাত্তা দেয় না। এরা সহজে অনেক কিছু পেয়ে যাচ্ছে তাই সিনিয়রদের রেসপেক্টটাও দেবে না। অথচ আয়ুষ্মান বা পরিনীতির সঙ্গে যখন কাজ করছি তখন ওরা দুজনেই বারবার জিজ্ঞেস করছে, দিদি ইয়ে সিন ঠিক লাগ রাহা হ্যায় না?
আয়ুষ্মান নাকি আপনার কাছে বাংলা শিখছেন?
হ্যাঁ, শিখছে। কে বলবে ও স্টার! আমাদের কত ধানাই পানাই।
রোদ উঠলে ছাতা ধরো। এই খাব না, সেই খাব না। ওরা রাস্তায় বসে
পড়ছে। ভোর ছটা থেকে পরের দিন ছটা পর্যন্ত টানা কাজ করছে। একটা সিন তিরিশ বার করতেও ওদের কোনও ক্লান্তি নেই।
আপনি শুনেছি লং আওয়ার কাজ করলে খুব ঘ্যানঘ্যান করেন?
(হেসে) তা করি। আমিও প্রচুর একটানা কাজ করি। আবার বলতে শুরু করি ওরে আমাকে এবার ছেড়ে দে রে। আমার প্রেশার বেড়ে যাবে। পা ব্যথা করছে। মাথা যন্ত্রণা করছে। তবে মুম্বইতে লোকে আর্টিস্টকে ভগবান ভাবে। আর্টিস্টকে কমফর্ট দেওয়ার জন্য ওরা জান লড়িয়ে দেয়। যেটা টলিউডে নেই। কিন্তু ওরা যে কাজটা প্রচুর চিন্তাভাবনার পর করে, সেটা কিন্তু আমরা সহজেই করতে পারি। একটা কথা মনে পড়ল। বলি?
হ্যাঁ, বলুন না...
আমার মনে আছে, তখন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিফিল্মে কাজ করছি। শটে কৌশিকদা হঠাৎ বললেন, তুই কি এক লাফে ছাদে উঠবি নাকি? সিঁড়িগুলো আগে পেরো, তারপর তো ছাদ! শট দিতে গিয়ে আজও এ কথাটা মনে রাখি। সমালোচনা শুনতে শুনতেই অভিনয় শিখেছি। দুঃখ পেয়েছি। কখনও সরে যাওয়ার কথা ভাবিনি। লেগে থাকাটাই আসল। সে জন্য বোধহয় আজ আমি অভিনয়ে এত স্বচ্ছন্দ।
একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেল না?
না, একটুও না। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি না। আমার কোনও ভয় নেই। অনেক খারাপ দিন দেখেছি। আজ ঋতুদির মতো স্টার আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছে। আর কী চাই! কাঞ্চন তো হল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে ফোন করেছিল। সেই কবে থেকে আমি, কাঞ্চন আর বিশ্বনাথ বন্ধু। ওরাও ভাল কাজ করছে। তবে কমলিকার কথা খুব মনে হয়। ওর আরও স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল।
আপনি খুব বন্ধুদের কথা ভাবেন, না!
কাজের বাইরে ওরা আমার জগৎ। বন্ধুদের নিয়ে আছি। ওরা আমার সিনেমা দেখার পার্টনার। আজ যেমন ওদের ‘প্রাক্তন’ দেখাব। স্কুলের সেই চার বন্ধু আজও আমার সুখ-দুঃখের সাথি। আমি নিজের জন্য শাড়ি কিিন না। বন্ধুদের দেওয়া শাড়ি পরি। আমি কিন্তু কোথাও বদলায়নি।
এর পরেও সিরিয়ালে মায়ের চরিত্র করবেন?
অবশ্যই। ভাই-বোন-মা-বাবা— যে চরিত্রই পাব, প্রাণ দিয়ে অভিনয় করব। আর একটা কথা বলতে চাই...
একজন অভিনেত্রীকে বলেছিলাম দাঁতের স্কেলিং করিয়ে নাও...পরে শুনি সেই অভিনেত্রী সবাইকে বলে বেড়িয়েছে,
‘‘ও কী মাল, যে আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহস পায়?’’
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
বলুন না...
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আমার ঈশ্বর। ওঁর লেখায় যেভাবে অভিনয়টা রোজ এক্সারসাইজ করতে পেরেছি, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। অতনু রায়, সাহানার লেখাতেও ভাল কাজের সুযোগ থাকে। সিরিয়ালে অভিনয়ের অভ্যেস ছিল বলে আমি এত দূর এসেছি ।
সিরিয়ালে আপনি নাকি সর্বোচ্চ বক্স অফিস? শিবপ্রসাদ বলেছেন ওঁর অফিসে অনেক আর্টিস্টই আসেন, কিন্তু গাড়ি থেকে নামলে সারা পাড়া আপনাকে ঘিরে ধরে?
সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। দরকার হলে ওঁদের বাড়িতে যাই। ওঁদের দুঃখে পাশে থাকি। তাই ওঁরা আমায় রিলেট করতে পারেন।
আচ্ছা আপনার প্রাক্তনের কথা বলুন না... যে আপনাকে সবচেয়ে দুঃখ দিয়েছে?
হাওড়ার পাড়ায় একজন ছিল। খুব ভালবাসতাম ওকে। ঘুরতাম, খেতাম। একদিন ও ডেকে বলল তুই খুব সাধারণ। তোর সঙ্গে থাকা যায় না। তুই বরং বড় হওয়ায় চেষ্টা কর। ভাগ্যিস ও ধাক্কাটা দিয়েছিল। নয়তো এত পথ পেরোতে পারতাম না।
জীবনে আর কোনও ধাক্কা?
পীযূষের (গঙ্গোপাধ্যায়) চলে যাওয়া। এখনও মানতে পারি না। সিরিয়ালে ও আর আমিই তো জুটি ছিলাম। আর মিস করি ঋতুদাকে (ঋতুপর্ণ ঘোষ)। ওর চলে যাওয়ার দিনেও খুব বৃষ্টি পড়েছিল। মনে হয়েছিল সব হারালাম— ঋতুদার মতো আর কেউ তো হাতে ধরে অভিনয়, ডাবিং শেখাবে না।
বর্তমানের প্রেম?
প্রেম হবে না। প্রেমে আসলে প্রচুর ট্যানট্রাম। হয় আমাকে সে পাগল ভাববে, নয় আমি তাকে পাগল ভাবব। (আলগা হাসি) এখন শুধু ভাল লাগা... (রেকর্ডারের দিকে তাকিয়ে ইশারায় বললেন নাম বলব না)
‘বেলাশেষে’র পিঠখোলা দৃশ্যের পর শরীর নিয়ে কতটা অনায়াস আপনি?
প্রথমে সিনটা করতে অস্বস্তি হয়েছিল। কিন্তু শিব আর নন্দিতাদি সহজ করে দিয়েছিল। এখন শরীর নিয়ে একটা কথাই মনে হয়।
কী?
অভিনেত্রী হিসেবে ফিট থাকার জন্য আমায় রোগা হতেই হবে। ভীষণ ফুডি তো আমি...
আগের মতো এখন দু’প্লেট বিরিয়ানি, চাঁপ একসঙ্গে খেতে পারেন?
ওরে বাবা! একদম না। পাগল নাকি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy