ভেঙে ফেলা হয়েছে ক্লাসরুম।
মাঝরাতে স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালালো প্রোমোটারের দলবল। টেবিল-চেয়ার-ব্ল্যাকবোর্ড এমনকী ক্লাসরুমের ছাদ-দেওয়াল পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। এক রাতেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ওই স্কুলের চারশো পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির লীনাদেবী মেমোরিয়াল স্কুলে। শনিবার সকালে যার প্রতিবাদে রাজারহাট মেন রোড অবরোধ করেন স্কুলের শিক্ষক, পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকেরা। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই প্রোমোটার মিজানুর রহমানকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাগুইআটির একটি বাড়িতে ভাড়া দিয়ে ওই স্কুলটি চলছিল ১৯৯৭ সাল থেকে। স্কুলটি দশম শ্রেণি পর্যন্ত। মাধ্যমিকের ফলও মোটামুটি ভাল। ২০১৫ সালে বাড়ির মালিক প্রোমোটারের কাছে পুরো বাড়িটাই বেচে দেন। স্কুল ছাড়াও ওই বাড়িতে বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। দোকানগুলো আস্তে আস্তে উঠে গেলেও, বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া স্কুল সরিয়ে নেওয়ার উপায় ছিল না। ২০১৫ সালেই প্রোমোটারের পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা স্কুলকে দেওয়া হয় বলে স্বীকার করছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক কৌশিক ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে তিনি জানান, বিকল্প জমি পেলেই স্কুল সরানো হবে এমন কথাও দেওয়া হয়েছিল প্রোমোটারকে। কিন্তু সম্প্রতি ওই প্রোমোটার দলবল নিয়ে স্কুলে এসে স্কুল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়ে যান বলে তাঁর অভিযোগ। তার পরেই আজকের ঘটনা।
রাস্তায় বার করে আনা হয়েছে বেঞ্চ, টেবিল। সেখানেই বসে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
কৌশিকবাবু জানান, এ দিন সকালে তিনি এসে দেখেন স্কুল লন্ডভন্ড। স্কুলের দেওয়াল, এমনকী সিলিংও ভেঙে ফেলা হয়েছে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত নথিপত্র। এ দিন স্কুলে পরীক্ষাও ছিল। তাই সকাল সকাল পড়ুয়াদের সঙ্গে স্কুলে এসে পৌঁছন অভিভাবকেরাও। পরিস্থিতি দেখে হতভম্ভ হয়ে পড়েন সকলেই। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। প্রোমোটারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করা হয়। শেষে বাগুইআটির থানার পুলিশের একটি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রেফতার করা হয় প্রোমোটারকে।
আরও পড়ুন: ঘুম ভেঙে ফের জেগে উঠল ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy