Advertisement
১০ জুন ২০২৪

নর্ডির গোল, তবু জেতেনি বাগান

বাগানের এখন আরও দুঃসময়! মাঠে এবং মাঠের বাইরেও। সারদা কাণ্ডের জেরে শুক্রবার মোহনবাগান সহসচিব সৃঞ্জয় বসু গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাঠের বাইরের সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ফের ধাক্কা। এ বার মাঠের ভিতরে। শনিবার ভুটানে কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে ড্রুক ইউনাইটেডের কাছে শেষ মুহূর্তের গোল হজম করায় জেতা হল না সুভাষ ভৌমিকের টিমের। এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাগানকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০০
Share: Save:

বাগানের এখন আরও দুঃসময়! মাঠে এবং মাঠের বাইরেও।

সারদা কাণ্ডের জেরে শুক্রবার মোহনবাগান সহসচিব সৃঞ্জয় বসু গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাঠের বাইরের সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ফের ধাক্কা। এ বার মাঠের ভিতরে। শনিবার ভুটানে কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে ড্রুক ইউনাইটেডের কাছে শেষ মুহূর্তের গোল হজম করায় জেতা হল না সুভাষ ভৌমিকের টিমের। এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাগানকে।

৩-৩ ড্র করার পর অবশ্য ঢাল হিসাবে রেফারির বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে লাল কার্ড ও পেনাল্টি না দেওয়ার অভিযোগ আনল সবুজ-মেরুন শিবির। টিম ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ ভুটান থেকে ফোনে দাবি করলেন, বাংলাদেশের রেফারি উদ্দিন মহম্মদ জোসেমের জন্যই ম্যাচটা জিততে পারেননি তাঁরা। “ম্যাচ কমিশনার এবং ভুটান ফুটবল সংস্থার সচিবের কাছে রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। চিঠি দেওয়ার জন্য হাতে চব্বিশ ঘণ্টা সময় রয়েছে।”

এ দিন ম্যাচের শুরুতেই ড্রুক ইউনাইটেড ১-০ এগিয়ে যায়। তবে বিরতির আগেই ১-১ করেন নবাগত ব্রাজিলিয়ান অ্যালেক্স। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে জোর দিতে গিয়ে ডিফেন্ডার অ্যালেক্সকে তুলে স্ট্রাইকার সোনি নর্ডিকে নামান সুভাষ। আর তার ফল হাতেনাতেই পায় বাগান। পিয়ের বোয়া ব্যবধান বাড়ান। এর পর ৩-১ করেন সোনি নর্ডি। এ দিন দুপুরেই ভুটানে পৌঁছন সোনি। ক্লান্তি সত্ত্বেও টিমের প্রয়োজনে বিরতির পর মাঠে নেমে গোলও করেন হাইতি জাতীয় দলের স্ট্রাইকার।

এই পর্যন্ত সবটাই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু এর পরই তীর্থঙ্করের লাল কার্ড সুভাষের সব স্ট্র্যাটেজি ওলটপালট করে দেয়। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের বাগান টিডি বলেও দেন, “তীর্থঙ্করের লাল কার্ড কেন হল, তা আমার কাছে দুর্বোধ্য।” টিম সূত্রের খবর, বাগান ম্যানেজারকে রেফারি নাকি জানিয়েছে, তীর্থঙ্কর বিপক্ষের এক ফুটবলারকে গালাগালি করেছিল বলেই তিনি কার্ড দেখিয়েছেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার এগারো মিনিট আগে তীর্থঙ্কর বেরিয়ে যাওয়ার পরই দু’গোল শোধ করে ভুটানের টিম। শুধু লাল কার্ডই নয়, মোহনবাগানের দাবি, ৩-২ হওয়ার পর পেনাল্টিও পেতে পারত বাগান। বোয়ার সেন্টার হাত দিয়ে নামান ড্রুকের এক ডিফেন্ডার। কিন্তু রেফারি সেটা গুরুত্বই দেননি। ম্যাচের পর হতাশ সুভাষ বলে দিয়েছেন, “জেতা ম্যাচ আমরা মাঠেই ফেলে এসেছি। আমাদের জেতা উচিত ছিল।” কিন্তু প্রশ্ন হল, যে টিমটা পরপর দু’টো ম্যাচে হেরেছে, তাদের কাছেই বাগান তিন গোল খেল কেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nerdi mohanbagan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE