সাহাল আব্দুল সামাদ। ছবি: সংগৃহীত
পরের মরসুমের আগে কার্যত অপ্রতিরোধ্য দল তৈরি করছে মোহনবাগান। মাঝমাঠের প্রতিভাবান ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপাকে নেওয়ার পর এ বার সাহাল আব্দুল সামাদকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সই করাল তারা। ফলে আগামী মরসুমে মোহনবাগানের মাঝমাঠ আরও শক্তিশালী হল। একই দিনে সবুজ-মেরুন থেকে বিদায় নিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক প্রীতম কোটাল। তিনি সই করেছেন কেরল ব্লাস্টার্সে।
সাহালের যোগ দেওয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শুক্রবার সকালে মোহনবাগানের চুক্তিতে সই করে দেন তিনি। দু’দিন আগেই বিয়ে করেছেন। মোহনবাগানে যোগ দেওয়াকে বিয়ের উপহার হিসাবেই দেখছেন সাহাল। বলেছেন, “মোহনবাগানের সঙ্গে এই চুক্তি আমার কাছে বিয়ের উপহার। মোহনবাগান এ বার দেশের সেরা দল তৈরি করেছে। দু’জন বিশ্বকাপার, একজন ইউরোজয়ী খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলব। জাতীয় দলের পাঁচ-ছ’জন ফুটবলার রয়েছে। দেশের হয়ে এ বছরই তিনটে আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছি। এখনও আইএসএল জিততে পারিনি। মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল জিততে চাই।”
সাহালকে নেওয়ায় মোহনবাগান গোলের সুযোগ তৈরি করার মতো একজন ফুটবলারকে পেল। গত বছর এই জায়গায় বার বার ধাক্কা খেয়েছিল তারা। সাহাল গোলের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি নিজেও গোল করতে পারেন। কিছু দিন আগেই দেশের জার্সিতে গোল করেছেন। কেরলের হয়ে ৯২টি ম্যাচে ১০টি গোলের পাশাপাশি দেশের হয়ে ৩০টি ম্যাচ খেলে তিনটি গোল রয়েছে।
জাতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচের আশীর্বাদ নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “মোহনবাগানের হয়ে আরও পরিশ্রমের কথা বলেছেন কোচ। এর আগে কেরল থেকে আইএম বিজয়ন, জো পল আনচেরি কলকাতায় খেলে সুনাম অর্জন করেছেন। কলকাতা যাওয়ার আগে ওঁদের সঙ্গে কথা বলব।”
স্বাভাবিক ভাবেই মোহনবাগান জার্সিতে ডার্বি খেলার জন্যে মুখিয়ে তিনি। বলেছেন, “ডার্বিকে সবাই এল ক্লাসিকোর সঙ্গে তুলনা করেন। সবুজ-মেরুন জার্সি পরলে অন্য আবেগ কাজ করে। তাই এখন থেকেই গর্বিত। ডার্বিতে স্টেডিয়ামের অবস্থা কেমন হয় সেটা দেখেছি। এ বার এই ম্যাচ খেলতে নামব ভেবেই দারুণ লাগছে।”
মোহনবাগান ছাড়ার পর ফেসবুকে প্রীতম লিখেছেন, “কিচ্ছুটি থেমে থাকে না। পায়ে পায়ে পাড়ি দেয় অন্য কোথাও। তবুও ফেলে আসা সময়টুকু সাথে থেকে যায়। সেই সবুজ মেরুনের আবেগ, গ্যালারিতে সমর্থকদের চিৎকার, তাদের হাসি, তাদের চোখের জল, সতীর্থদের ভালবাসা এগুলো না হয় জমা থাকুক আমার মনে। একসাথে বেঁধে থাকা এতগুলো বছর। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নতুন করে পাওয়া। সবকিছুই আমার সঞ্চয়কে আরও পরিপূর্ণ করেছে। তবে আপাতত টান টান উত্তেজনা নিয়েই মোহনবাগানের হয়ে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। বলতে দ্বিধা নেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যে ভালবাসা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে কী জানেন তো, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ে পা থেকে বলটা কাটানো যায় কিন্তু এই সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো সত্যি একটু কঠিন হয়ে যায়। সবাইকে অফুরান ভালোবাসা। আবার দেখা হবে নতুন কোনও একদিনে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy