প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট পাননি। দলও হেরেছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারলেও গৌতম গম্ভীর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, জসপ্রীত বুমরাহকে তিন টেস্টে খেলানোর নীতি থেকে সরবেন না। বাকি বোলারদের সময় দেওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি। ঋষভ পন্থের জোড়া শতরানে নিরুত্তাপ ভারতীয় দলের কোচ। তবে খুশি শুভমন গিলের অধিনায়কত্বে।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে গম্ভীর বলেন, “আমরা পরিকল্পনা বদলাব না। আমাদের কাছে বুমরাহের ওয়ার্কলোড সামলানো অনেক জরুরি। কারণ আগামী দিনে অনেক ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। আমরা জানি বুমরাহ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশে আসার আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে ওকে তিন টেস্টে খেলানো হবে।”
২ জুলাই থেকে বার্মিংহামে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। তবে বাকি চারটির কোন দু’টি টেস্টে বুমরাহ খেলবেন সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন গম্ভীর। তাঁর কথায়, “দলে যাদের নেওয়া হয়েছে তাদের উপরে বিশ্বাস রয়েছে আমাদের। অনেকেই অনভিজ্ঞ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি করবে। প্রথম চার দিন, এমনকি পঞ্চম দিনেও কিছুটা সময় আমরা জেতার জায়গায় ছিলাম। আমাদের বিশ্বাস এই ছেলেরাই ভবিষ্যতে দলকে জেতাবে।”
লিডস টেস্টে দুই ইনিংসেই শতরান করেছেন পন্থ। তবে ভারতীয় উইকেটরক্ষকের এই কীর্তিতে বিশেষ উৎসাহিত নন গম্ভীর। ব্যক্তিগত সাফল্যকে প্রাধান্য দিতে চাইলেন না। বলেছেন, “আরও তিনটে শতরান তো হয়েছে। ওগুলোও ম্যাচের ইতিবাচক দিক। ধন্যবাদ।” এক বাক্যে উত্তর দিতে দেখা গেল ভারতের কোচকে।
লিডস টেস্ট থেকে পাওয়া ইতিবাচক শিক্ষা নিয়ে গম্ভীরের ব্যাখ্যা, “আপনারা যদি যশস্বী বা শুভমনের শতরান নিয়ে কথা বলতেন তা হলে বেশি খুশি হতাম। রাহুলও শতরান করেছে। প্রথম টেস্টে পাঁচটা শতরান নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স সব সময়ই ভাল। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের থেকে বড় রানই চাই আমরা। কিন্তু দিনের শেষে টেস্ট ম্যাচটা জেতা দরকার। সেটা আমরা পারিনি।”
আরও পড়ুন:
দু’টি টেস্টেই ভারতের লোয়ার অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। তবে এখনই ভেঙে পড়ার মতো কারণ দেখছেন না গম্ভীর। বলেছেন, “কখনও সখনও মানুষ ব্যর্থও হয়। জানি ব্যাপারটা হতাশার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ওরা নিজেরাও হতাশ। ওরা জানে যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ৫৭০, ৫৮০ রান তুলতে পারলে আরও দাপট দেখাতে পারতাম। ওরা নেটে পরিশ্রম করছে না এমনটা নয়। তবে কখনও সখনও এ রকম হয়ে যায়।”
শুভমনের নেতৃত্ব নিয়ে গম্ভীরের মন্তব্য, “প্রথম টেস্টে স্নায়ুর চাপ থাকবেই। জীবনে সবাই তো নেতৃত্বের সুযোগ পায় না। আমি বলব, শুভমন ভাল খেলেছে। প্রথম ইনিংসে শতরান করেছে। স্নায়ুর চাপ দারুণ ভাবে সামলেছে।”