Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Science

এ বার ক্রায়োজেনিক রকেট, ইসরোর মুকুটে জুড়বে আরেকটি পালক

মাইলস্টোন এক: মঙ্গল অভিযান। এক বারের চেষ্টায় মঙ্গলের ‘পাড়া’য় (কক্ষপথ) ঢুকে পড়ে বিশ্বরেকর্ড। মাইলস্টোন দুই: এক সঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহকে পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমানো। সেটাও বিশ্বরেকর্ড। এ বার এশিয়ার ৭৫টা বিশাল চেহারার ‘হাতি’কে এক সঙ্গে মহাকাশে পাঠাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা! যাদের মোট ওজন হবে ৪১৪ টন। সেই ‘হাতি’ আসলে একটি ক্রায়োজেনিক রকেট।

ইসরোর ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। ছবি সৌজন্যে: ইসরো।

ইসরোর ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। ছবি সৌজন্যে: ইসরো।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৮:১১
Share: Save:

মাইলস্টোন এক: মঙ্গল অভিযান। এক বারের চেষ্টায় মঙ্গলের ‘পাড়া’য় (কক্ষপথ) ঢুকে পড়ে বিশ্বরেকর্ড।

মাইলস্টোন দুই: এক সঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহকে পিঠে চাপিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমানো। সেটাও বিশ্বরেকর্ড।

এ বার এশিয়ার ৭৫টা বিশাল চেহারার ‘হাতি’কে এক সঙ্গে মহাকাশে পাঠাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা! যাদের মোট ওজন হবে ৪১৪ টন। সেই ‘হাতি’ আসলে একটি ক্রায়োজেনিক রকেট। রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স, চিন, জাপানের পর মহাকাশে এই সর্বাধুনিক ক্রায়োজেনিক রকেট পাঠানোর ব্যাপারে ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ। আর সেই রকেট মহাকাশে পাড়ি জমাবে যে ‘ডানা’য় ভর করে, সেই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ‘গায়ের জোর’ কতটা, তা ওই ৪১৪ টন ওজনের রকেটের ভার কাঁধে চাপিয়ে মহাকাশযানকে জোরে ছুটিয়ে নিয়ে যেতে পারবে কি না, তা সাফল্যের সঙ্গে পরখ করে দেখল ইসরো। টানা ১০ মিনিট ধরে। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে।

সেই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। ছবি সৌজন্যে: ইসরো

ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পরীক্ষা করল ইসরো, তামিলনাডুর মহেন্দ্রগিরিতে। ছবি সৌজন্যে: ইসরো

ওই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনই বিশাল চেহারার (৫০ মিটার বা ১৬৪ ফুট উঁচু, মানে প্রায় ১৭ তলা একটা বাড়ি) ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (জিএসএলভি) মার্ক-থ্রি’ রকেটকে ৪১৪ টনের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে পৌঁছে দেবে পৃথিবীর জিও-সিনক্রোনাস কক্ষপথে। যে-অক্ষাংশে পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘোরে যে-গতিতে, ঠিক সেই গতিতেই পৃথিবীকে পাক মারবে ওই রকেটটি। এর আগে ২০০১ সালে ‘জিএসএলভি-মার্ক-টু’ রকেট মহাকাশে পাঠিয়েছিল ইসরো। ‘জিএসএলভি-মার্ক-থ্রি’ রকেট ইসরোর পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের (পিএসএলভি) চেয়েও বেশি ওজন বইবার ক্ষমতা রাখে। আমেরিকার চাপে রাশিয়া এই প্রযুক্তি ভারতকে দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায় দু’দশক ধরে অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানীরা এই রকেটটি বানিয়েছেন।


জিএসএলভি-মার্ক-থ্রি রকেট। ছবি সৌজন্যে: ইসরো।

এই ক্রায়োজেনিক রকেট ইঞ্জিনের জ্বালানিটা কী হবে?

ইসরো জানাচ্ছে, এটা চলবে তরল হাইড্রোজেন আর তরল অক্সিজেনে। যা রাখা থাকবে শূন্যের নীচে ২৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। সেই জ্বালানির ডানায় ভর দিয়েই মহাকাশে পাড়ি জমাতে পারবে ওই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন।

আরও পড়ুন- এ বার মোবাইল ফোনেই ধরা যাবে আকাশগঙ্গায় ‘ভিনগ্রহীদের আলো’!

২০৩০-র মধ্যেই সারা দেশের বিদ্যুৎ জোগাবে চাঁদ, দাবি ইসরো-র

অন্য বিষয়গুলি:

ISRO Cryogenic Engine Space Shuttle
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE