Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য ফিরছে ওজোন স্তরের

ওজোনোস্ফিয়ার বর্মের মতো। ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। আশির দশকের মাঝামাঝি বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়ে, দক্ষিণ মেরুর উপরে ওজোন স্তরে ফুটো হয়েছে।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। ছবি সৌজন্য নাসা। ফাইল চিত্র।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। ছবি সৌজন্য নাসা। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৬
Share: Save:

আশি ও নব্বইয়ের দশকে পৃথিবীর ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের ছিদ্র। ঘোষণা করা হয়েছিল, ওজোন স্তরের পক্ষে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সম্প্রতি নাসার একটি গবেষণায় ধরা পড়েছে, গত ত্রিশ বছরে ওজোন স্তরের ক্ষত অনেকটাই সেরেছে। ওজোন স্তরের স্বাস্থ্যের কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।

ওজোনোস্ফিয়ার বর্মের মতো। ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। আশির দশকের মাঝামাঝি বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়ে, দক্ষিণ মেরুর উপরে ওজোন স্তরে ফুটো হয়েছে। গবেষণায় জানা যায়, ওজোন স্তরের এই বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (সিএফসি) নামের যৌগ। এর পরেই ১৯৮৭ সালে গোটা বিশ্ব একসঙ্গে মন্ট্রিয়ল চুক্তি সই করে। সিএফসি-র ব্যবহার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পর আস্তে আস্তে মেরামতি। ২০০০ সাল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার পরিমাণ কমেছে ওজোনের ফুটো। তবে ওজোন স্তরের ওই ছিদ্র মরসুম বিশেষে বাড়ে-কমে। আকারে সব থেকে বড় হয় অক্টোবর নাগাদ। কারণ, বায়ুস্তরে এক শতাংশ থেকেই গিয়েছে সিএফসি।

মাইক্রোওয়েভ লিম্ব সাউন্ডার নামের এক যন্ত্র কৃত্রিম উপগ্রহে বসিয়ে রেখেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত, প্রতি শীতে ওজোন স্তরে কতটা পরিবর্তন হচ্ছে, তা এই এমএলএস-এর সংগৃহীত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে। এই সময়টিতে ওজোন স্তরের ক্ষতি প্রায় ২০% কমেছে। এমনই প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy