Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল রহস্য কি ভেদ হল এবার?

সে কি আরও এক ‘দেবতার গ্রাস’! কেন বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে গিয়ে হারিয়ে যায় জাহাজ? কেনই বা নিখোঁজ হয়ে যায় বিমান? একেবারে হালে তার কারণ জানা গিয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৬ ১৭:৫৫
Share: Save:

সে কি আরও এক ‘দেবতার গ্রাস’!

কেন বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে গিয়ে হারিয়ে যায় জাহাজ? কেনই বা নিখোঁজ হয়ে যায় বিমান?

আর তার পর সেই জাহাজ বা বিমানগুলোর আর কোনও হদিশ মেলে না। এমনকী খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের ধ্বংসাবশেষও।

হাজারো তত্ত্ব-তালাশ করেও, গত অর্ধ শতাব্দী ধরে যে ধাঁধার কোনও উত্তর মেলেনি, সম্প্রতি তার জট খুলেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে সমুদ্রের একেবারে তলদেশে কয়েকটি সুবিশাল আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তার জ্বালামুখ থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। অসম্ভব রকমের গরম অন্যান্য গ্যাসও। ওই সুবিশাল আগ্নেয়গিরিগুলি থাকায় আর সেগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথেনের মতো বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসায় সমুদ্রের তলদেশে জলজ প্রাণীদের পক্ষেও বেঁচে থাকাটা সম্ভব হয় না। সেই মিথেন গ্যাসই সমুদ্রের তলদেশ থেকে উঠে এসে জলের ওপর বুদবুদ তৈরি করে। জলকে আরও ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে। গ্যাসে চার পাশ ঢেকে যায় বলে জাহাজের নাবিকের পক্ষে তো আর কিছু দেখা সম্ভব হয়ই না, এমনকী, তা কমপিউটারের নেভিগেশান ব্যবস্থাকেও বিগড়ে দেয়। ফলে পথ হারিয়ে ফেলা ছাড়া জাহাজের নাবিকের আর কিছুই করার থাকে না। একই কারণে, পথ হারিয়ে ভেঙে পড়ে বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানও।

নরওয়ের আর্কটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একেবারে হালে নরওয়ের উপকূলে ব্যারেন্টস সাগরের তলদেশে ওই সুবিশাল আগ্নেয়গিরিগুলোর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওই মিথেন গ্যাস সমুদ্রের জলের অন্তত ১৫০ ফুট ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। আর তা ছড়িয়ে থাকে আধ মাইল এলাকা জুড়ে।

আরও পড়ুন- স্বার্থপর লোকটাও হয়ে যাবেন পরোপকারী, বিজ্ঞান তাও সম্ভব করবে!

কেন ওই এলাকাটিকে বলা হয় ‘বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল’?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অতীতে জাহাজ আর বিমানগুলো হারিয়ে গিয়েছে সমুদ্রের যে যে এলাকার কাছাকাছি, সেই এলাকাগুলোকে কোনও এক অদৃশ্য লাইন দিয়ে জুড়লে, তা একটা ত্রিভুজ বা ‘ট্র্যাঙ্গেলে’র চেহারা নেয়।

সেই জায়গাগুলো কী কী?

পুয়ের্তো রিকো, মিয়ামি আর বারমুডা।

বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন, শুধুই যে সমুদ্রের তলদেশে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে ওই প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস উঠে আসছে, তাই নয়। সমুদ্রের তলদেশে একেবারে শক্ত বরফ হয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিথেন। আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতের গরমে তা গ্যাস হয়ে গিয়ে অসম্ভব রকমের গরম মিথেন গ্যাসের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাতেই ঘটছে যাবতীয় বিপত্তি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE