যোগী আদিত্যনাথ।
বিজয়া দশমীর বক্তৃতাতে কেরলের পাশাপাশি বাংলাও ছিল মোহন ভাগবতের তোপে। কেরলে অমিত শাহদের যাত্রাতেও শোনা গেল সেই সুর। বিজেপি-সঙ্ঘের ‘হিন্দুত্বের মুখ’ যোগী আদিত্যনাথও আজ কেরল থেকেই হুঙ্কার ছুড়লেন বাংলার শাসক শিবিরের উদ্দেশে।
কেরলে সিপিএমের হাতে বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে অমিত শাহদের পথে নামতে হয়েছে সঙ্ঘের চাপে। আর সেখান থেকেই এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন অমিত শাহরা। বিজয়া দশমীতে ভাগবত বলেছিলেন, ‘‘কেরলের মতো বাংলাতেও জেহাদি শক্তি সক্রিয়। রাজ্য সরকার শুধু উদাসীন নয়, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের মদত দিচ্ছে।’’ কেরলে ১৫ দিনের যাত্রার প্রথম দিনেই অমিত শাহ কাল অভিযোগ আনেন, কেরলের মতো বাংলাতেও রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে। আর আজ যোগী বললেন, ‘‘কেরলে বিজেপির এই যাত্রা বাংলার সরকারের কাছেও আয়না। নির্দোষ মানুষদের হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত।’’ অমিত শাহ কাল ফের কেরলে যাবেন।
আরও পড়ুন: তথ্য তুলে আত্মরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, ‘‘বাংলা ও কেরল নিয়ে সঙ্ঘ-বিজেপির এই তৎপরতা আসলে মেরুকরণের রাজনীতি। সে কারণেই মোহন ভাগবত সে দিন যা বলেছিলেন, আজ সেটাই বলছেন অমিত-যোগীরা।’’ সীতারাম ও বৃন্দা কারাট আজ এখানে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, নিম্নমুখী অর্থনীতি ও অন্য সঙ্কট থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমেছে। ইতিহাসে যখনই কোনও অশান্তি হয়েছে, তত বারই উঠে এসেছে জনসঙ্ঘ, আরএসএস, বিজেপির নাম।
ইয়েচুরি উল্লেখ করেন, কেরলে যে দিন পিনারাই বিজয়ন জিতে এসে বিজয়-মিছিল করেছিলেন, সে দিনই সেখানে বোমা ছুড়েছিল আরএসএস। সঙ্ঘই হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে কেরলে। কংগ্রেসও আজ একই সুরে আক্রমণ করেছে বিজেপিকে।
বিজেপির দাবি, আসলে তাদের উত্থানের সম্ভাবনা দেখে বিরোধীরা চিন্তিত। এবং সে কারণেই তারা বেশি করে আক্রমণাত্মক হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। যার প্রতিবাদে আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, মনোজ তিওয়ারি, বিজয় গোয়েলরা সিপিএমের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রোজ বিক্ষোভ দেখানোর হুমকিও দিয়ে যান। সিপিএম এর পাল্টা হিসেবে দলের সদর দফতরের সামনে কেরলে আরএসএসের হাতে নিহত দলীয় কর্মীদের ছবি লাগিয়ে রাখে এ দিন। সঙ্ঘের হিংসার প্রতিবাদে ৯ অক্টোবর তারা গোটা দেশে পথে নামবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy