বেপাত্তা হয়েছিলেন গত ২৫ অগস্ট। যে দিন জোড়া ধর্ষণ মামলায় তাঁর পালক পিতা— ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তার পরেও হানিপ্রীত ইনসান ৩৮ দিন পালিয়ে বেড়িয়েছেন। কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে এত সময় লাগল, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তরজায় জড়ালেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীরা।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর গোটা ঘটনায় পঞ্জাব পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘‘হানিপ্রীত যে তাদের রাজ্যেই লুকিয়ে, সেই তথ্য পঞ্জাব পুলিশের কাছে ছিল। সেটা হরিয়ানা পুলিশকে আরও আগে দিলে ভাল হতো।’’
বিজেপি নেতা খট্টরের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা সমালোচনায় ফেটে পড়েন পঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। বলেন, নিজের ব্যর্থতা চাপা দিতে চাইছেন তাঁর ‘হরিয়ানার সহকর্মী’। তাই পঞ্জাব পুলিশকে ঢাল করছেন। হানিপ্রীত পালিয়ে বেড়ানোর সময়ে তাঁকে নিয়ে কোনও খবর থাকলে অবশ্যই হরিয়ানা পুলিশকে জানানো হতো। অমরেন্দ্র বলেন, ‘‘হরিয়ানায় আইন-শৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। সে দিক থেকে জনতার নজর ঘোরাতেই এ সব বলছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী।’’
অমরেন্দ্রর দাবি, হরিয়ানা পুলিশের কয়েক জন পদস্থ কর্তা হানিপ্রীতের হদিস জানতেন বলে খবর পেয়েছেন তিনি। অমরেন্দ্র বলেন, ‘‘নিজের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত খট্টরের। পঞ্চকুলায় রাম রহিমের শুনানির আগে থেকে পঞ্জাব পুলিশ নিয়মিত হরিয়ানাকে নানা খবর দিয়েছে। কিন্তু হরিয়ানা সরকার ও পুলিশ সেই সব সূত্র থেকে কোনও কাজের কাজ করে উঠতে পারেনি।’’ দুই মুখ্যমন্ত্রীর চাপান-উতোরের মধ্যেই রাতভর দু’দফায় হানিপ্রীতকে জেরা করেছে হরিয়ানা পুলিশ। পঞ্চকুলায় হিংসা ছড়ানো ও রাম রহিমকে নিয়ে পালানোর ছক কষা নিয়ে তাঁকে মোট ৪০টি প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, ১৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন হানিপ্রীত। ২৭টি প্রশ্নের উত্তর ছিল বিভ্রান্তিকর। হানিপ্রীতের নার্কো পরীক্ষা করানোর জন্য কোর্টের অনুমতি চাওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy