Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

আজ শপথ নেবেন নীতীশ, সঙ্গী সুশীলও

সুশীলকে সঙ্গে নিয়ে রাত বারোটায় ফের রাজভবনে যান নীতীশ। ইস্তফা দেওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে সরকার গড়ার দাবি নিয়ে। ঠিক হয়েছে, দু’দলের ১৩ জন করে মন্ত্রী হবেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সুশীল মোদী। যিনি এর আগেও নীতীশ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

কাল শপথ নীতীশের। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন সুশীল মোদী।— ফাইল ছবি।

কাল শপথ নীতীশের। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন সুশীল মোদী।— ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও পটনা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৫:১১
Share: Save:

কুড়ি মাস আগে বিহার বিধানসভা ভোট বড় ধাক্কা দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। আজ নীতীশ কুমারের ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটিয়ে সেই জ্বালা জুড়োলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার চোখের পলক পড়ার আগেই কার্যত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ধাঁচে বিহারের দখল নিয়ে নেয় বিজেপি। সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে নীতীশকে ফোন করেন বিহার বিজেপির অন্যতম নেতা সুশীল মোদীর। বলেন ‘‘আমরা আপনাকে সামনে রেখেই সরকার গড়তে চাই।’’

সুশীলকে সঙ্গে নিয়ে রাত বারোটায় ফের রাজভবনে যান নীতীশ। ইস্তফা দেওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে সরকার গড়ার দাবি নিয়ে। ঠিক হয়েছে, দু’দলের ১৩ জন করে মন্ত্রী হবেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সুশীল মোদী। যিনি এর আগেও নীতীশ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

বিহার বিধানসভা

মোট আসন ২৪৩

সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১২২

জেডিইউ ৭১

এনডিএ ৫৮

বিজেপি ৫৩

এলজেপি ২

আরএসএসপি ২

এইচএএম ১

আরজেডি ৮০

কংগ্রেস ২৭

অন্যান্য ৭

বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, রাজ্য নেতৃত্বের কেউ কেউ জানিয়েছিলেন বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়া হোক। কিন্তু বাকিরা বোঝান, সরকারে সামিল হওয়াটাই নীতীশ ও বিজেপির পক্ষে মঙ্গল। দেড় বছরের মাথায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দূরত্ব রেখে চলা অর্থহীন। আর বিজেপি সরকারে থাকলে নীতীশও বল পাবেন। বিজেপি বরাবর বলে এসেছে, তারা যখন নীতীশের সঙ্গে সরকারে ছিল, তখনই বিহারে উন্নয়ন হয়েছিল। কেন্দ্রের কাছ থেকে সাহায্য পেতেও সুবিধা হবে নীতীশের।

আরও পড়ুন: মহাজোট’ ছেড়ে বিজেপির ঘরে ফের নীতীশ

খেলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে জেনেও অবশ্য ময়দান ছাড়তে নারাজ লালুর দল। লালুর ছেলে তেজস্বী বলেছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরাও কাল সকালেই দেখা করবেন। কারণ, বৃহত্তম দল হিসেবে তাঁদেরই সরকার গড়ার ডাক পাওয়ার কথা।

নীতীশ যে ফের বিজেপির সঙ্গে যেতে চলেছেন, সেই আভাস আগেই পেয়েছিলেন লালু। তাই নীতীশের ইস্তফার পরে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘কেয়া সেটিং হ্যায়! দশ মিনিটের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর টুইট চলে এলো!’’ তার পরেই তিনি প্রস্তাব দেন, নীতীশ যদি ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধী হন, তা হলে মহাজোটের বৈঠক ডেকে নতুন নেতা নির্বাচন করুন।

নীতীশ কান দেননি। বিজেপি তাঁকে দোলাচলের সময়ও দেয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE