Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

তিব্বতি সরকারের নিশানায় বেজিং

কূটনীতিকদের মতে, এর ফলে এই মুহূর্তে দিল্লির একটা বাহ্যিক অস্বস্তির কারণ তৈরি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু উত্তেজনা কমানোর সূত্র খোঁজার পাশাপাশি পরোক্ষে বেজিং-এর উপরে এই স্নায়ুর চাপ তৈরি করাটাও সাউথ ব্লকের কৌশলের মধ্যেই পড়ে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪০
Share: Save:

ডোকলামে সঙ্কট নিয়ে সরকারি স্তরে মুখ না খুলতেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকী উত্তরাখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে গতকাল সংবাদমাধ্যমে হইহই শুরু হওয়ার পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক একযোগে বিতর্কে জল ঢালার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অজিত ডোভালের দৌত্য শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন দিল্লিতে চিনকে তুলোধোনা করেছে ভারতে আশ্রিত নির্বাসিত তিব্বতি সরকার। তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা ওই সরকারের প্রধান। দিল্লির হংসরাজ কলেজের একটি অনুষ্ঠানে নির্বাসিত তিব্বতি সরকারের প্রেসিডেন্ট লবসাং সাংগে ভারতীয় ছাত্রদের সামনে দেওয়া বক্তৃতায় ডোকলাম পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ডোকলামে চিনের পদক্ষেপ ভূখণ্ড বাড়ানোর নীতি।’’

কূটনীতিকদের মতে, এর ফলে এই মুহূর্তে দিল্লির একটা বাহ্যিক অস্বস্তির কারণ তৈরি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু উত্তেজনা কমানোর সূত্র খোঁজার পাশাপাশি পরোক্ষে বেজিং-এর উপরে এই স্নায়ুর চাপ তৈরি করাটাও সাউথ ব্লকের কৌশলের মধ্যেই পড়ে। একই ভাবে এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতেও দু’দিন আগেই তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা লাদাখের রাজধানী লেহ সফরে গিয়েছেন বুদ্ধ উৎসবে যোগ দিতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি তাঁকে ঘটা করে অভ্যর্থনাও জানিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, চিন এমনই একটি রাষ্ট্র যার সঙ্গে স্নায়ুর যুদ্ধে নিজেরা ঝুঁকে পড়লে শেষপর্যন্ত চাপ তারা আরও বাড়াবে। তাই পাল্টা প্রচ্ছন্ন চাপটা ধরে রাখাটা জরুরি।

প্রকৃতপক্ষে গত কয়েক বছর ধরে দলাই লামাকে দিয়ে সেই কাজটাই বকলমে করে চলেছে নয়াদিল্লি। কূটনীতিকদের মতে, হংসরাজ কলেজে লবসাং সাংগের বক্তৃতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোটা বিষয়টিই পূর্ব নির্ধারিত। তিনি কী বলবেন তা নিয়ে দিল্লির স্পষ্ট ধারণা ছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE