—ফাইল চিত্র।
অপমান করতেই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় যাদব পরিবারকে— আজ এমনই মন্তব্য করলেন লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, সেই কারণেই আগামী কাল পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যাবেন না তাঁর কোনও পরিজন। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে পটনায় নরেন্দ্র মোদীর একটি অনুষ্ঠানে মাটিতে বসতে হয়েছিল লালুপ্রসাদকে। তা নিয়ে বিতর্কও হয়।
পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তাঁদের কাউকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে আগে জানিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাসবিহারী সিংহ জানান, ৪ হাজার ২০০ জনের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবার, যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহার নামও। তাঁদের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। গিয়েছে ই-মেলও।
এ দিকে বিহারের রাজনৈতিক শিবিরে আলোচনা চলছে, লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে রাজ্যে বিজেপি-জেডিইউ জোটের ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে চাইছেন মোদী। আগামী কাল এক দিনের সফরে বিহারে আসছেন তিনি। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের পর মোকামাতে কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। কিন্তু আসলে বিহারের পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক সমীকরণে নিজেকে মানিয়ে নিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগামী কাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পটনা বিমানবন্দরে নামার পর বিভিন্ন কর্মসূচি সেরে বিকেল ৩টে ১৫-য় ফের দিল্লির বিমানে উঠবেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী, বেশিরভাগ সময়েই তাঁর সঙ্গে থাকবেন নীতীশ কুমার। তার মধ্যে কিছুটা সময় দুই নেতা একান্তে কাটাতে পারবেন। এ নিয়ে রাজ্যের বিজেপি এবং জেডিইউ শিবির উচ্ছ্বসিত। তার প্রতিফলন হয়েছে পটনার রাজপথে। দুই নেতার এক সঙ্গে ছবি দিয়ে বড় বড় হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে শহরজুড়ে।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩১টিতে জিতেছিল এনডিএ জোট। বিজেপির দখলে ছিল ২২টি আসন। এ বার নীতীশকে সঙ্গে পাওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশায় রয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যে বিহারে উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে দ্রুত ছাড়পত্র দিচ্ছে কেন্দ্র। নীতীশকে পাশে রেখেই ১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের কাজ শুরু করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy