সংসদ। ফাইল চিত্র।
একটা করে দিন চলে যাচ্ছে। কিন্তু, টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব লোকসভায় উঠলই না। কারণ, সেই বিশৃঙ্খলা এবং হইহল্লা!
আর গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। বুধবারও তিনি সারাদিনের মতো অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়ে বলেন, ‘‘লোকসভায় যা ঘটে চলেছে, তা অপ্রত্যাশিত। দেশ এমন ঘটনা আগে দেখেনি।’’
অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ অধিকারের প্রতিশ্রতি দিয়েও তা রক্ষা করার চেষ্টা করছে না কেন্দ্র। এমন অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গত সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় টিডিপি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কিন্তু, সে দিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই তা মুলতুবি হয়ে যায়। মঙ্গলবারও একই ছবি দেখেছে লোকসভা। হুইপ জারি করে নিজেদের সাংসদদের অধিবেশনে আসার নির্দেশ দেয় ওই দুই দল। বার বার ব্যর্থ হয়ে ওই দলের সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্পিকারের অভিযোগ, এরকম অবস্থায় অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে থাকা সাংসদদের মাথা গোনা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রাহুলের বার্তার পরে রাজ বব্বরের ইস্তফা নিয়ে জল্পনা
আরও পড়ুন: জোট ভাঙতে নতুন কৌশল বিজেপির
যদিও কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ আজ অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলে বিজেপি সমস্যায় পড়ে যাবে। ভয় থেকেই তারা আলোচনা থেকে পালাতে চাইছে। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, সংসদে এআইএডিএমকে ও টিআরএসের বিক্ষোভে বাড়তি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি।
তবে কি দক্ষিণী দুই দলের অনাস্থা প্রস্তাব রুখে দেওয়ার জন্য দক্ষিণেরই অন্য দুই দলকে ব্যবহার করছে বিজেপি? প্রশ্নটা ঘুরছে মোদী বিরোধী শিবিরে।
অন্য দিকে, লোকসভার অধিবেশন এ ভাবে ‘পণ্ড’ হওয়ায় স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের কাছে চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ‘‘নিজেদের দায়িত্বের কথা ভুলে কেউ-কেউ সংসদে গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন। সংসদে এবার থেকে নো ওয়ার্ক, নো পে প্রথা চালু করা উচিত।’’ আগামিকাল সংসদে ফের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার চেষ্টা হবে বলে টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে্। কিন্তু এআইএডিএমকে ও টিআরএস-এর লাগাতার বিক্ষোভে তা সফল হবে কি না, সে নিয়ে সংশয় কিন্তু কাটছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy