Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
currency ban

‘নোট বাতিল করায় অনেক রাজনৈতিক দল ভীষণ ভয়ে’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ‘পরিবর্তন’ র‌্যালিতে ভাষণ দেন। এ দিনও তাঁর গোটা বক্তব্য জুড়ে ছিল নোট বদলের কথা।

উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:৩০
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ‘পরিবর্তন’ র‌্যালিতে ভাষণ দেন। এ দিনও তাঁর গোটা বক্তব্য জুড়ে ছিল নোট বদলের কথা। এক নজরে জেনে নিন তিনি কী বললেন—

১। আমার সৌভাগ্য, আমি আরও এক বার দেশবাসীর থেকে আর্শীবাদ পাচ্ছি।

২। ২০১৪ সালে আমার উপর আস্থা রাখার আবেদন জানিয়েছিলাম।

৩। আজ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরুর জন্ম বার্ষিকী।

৪। উত্তরপ্রদেশ ভারতবর্ষকে অনেক প্রধানমন্ত্রীই দিয়েছে।

৫। আমি জেনে বুঝেই ১৪ নভেম্বর এখানে এসেছি। পণ্ডিত নেহরু যা চেয়েছিলেন, তা পূর্ণ করতে যাঁরা কোনও কাজ করেননি তাঁদের মুখোশ খুলতে চাই।

৬। পণ্ডিত নেহরুকে এর থেকে ভাল ভাবে শ্রদ্ধা জানানো যেত না।

৭। ভারতে অর্থের কোনও অভাব নেই। কিন্তু জানা নেই কোথায় টাকাগুলো রাখা রয়েছে।

৮। ৫০০, হাজার টাকার নোট বাতিল করে আমি সেই কাজই কি করছি না যার দায়িত্ব আমার উপর সঁপেছিলেন?

৯। এখন অসৎ মানুষগুলো কোথায় পালাবে?

১০। আপনি যখন কোনও ভাল কাজ করবেন, তখন আপনার সামনে বাধা আসবেই।

১১। নোট বাতিল নিয়ে অনেকগুলি দল ভীষণ ভয়ে রয়েছে।

১২। এখন তাঁরা কী করবেন, যাঁরা টাকা দিয়ে মালা বানিয়ে পরতেন? ওই টাকা তো দেশবাসীর।

১৩। আমি দুর্নীতি বন্ধ করতে চাই। আমি প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারব না। তাই আমি সেই সব টাকাকে সাদা কাগজ বানিয়ে দিয়েছি।

১৪। সেই জন্যই আমি দিবানিদ্রা ত্যাগ করে মানুষে স্বা্থে কাজ করে চলেছি।

১৫। গোটা দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলতে কালো টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল। আমরা কি সেই কালো টাকা দেশ থেকে হটিয়ে ফেলতে পারি না?

১৬। আমি দেশের গরিব মানুষের টাকা লুঠ করতে দেব না।

১৭। আপনারা কখনও শুনেছেন, টাকা গঙ্গায় ছুড়ে ফেলা হচ্ছে? আমি সেই সব লোকেদের সাবধান করে দিচ্ছি।

১৮। আমি দেশের মানুষের কাছ থেকে ৫০ দিন সময় চেয়ে নিয়েছি।

১৯। গরিব মানুশ নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। ধনীরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোচ্ছে।

২০। ক্ষমতায় থাকার জন্য কংগ্রেস গোটা দেশকে ১৯ মাস জেলখানা বানিয়ে রেখেছিল। আমি আপনাদের কাছ থেকে মাত্র ৫০ দিন চেয়ে নিচ্ছি।

২১।কংগ্রেস কীভাবে আমার দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলছে, যেখানে ওই দলের প্রায় সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত।

২২।এক শ্রেণীর মানুষের হাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে, আর এক শ্রেণী অর্থাভাবে ভুগছে।

আরও পড়ুন: বিশেষ ক্ষেত্রে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পুরনো নোট

ক্ষোভের আঁচ সামাল দিতে কান্না মোদীর

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE