Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মোদী-সঙ্ঘকে তির, এক মঞ্চে বিরোধীরা

নীতীশ ইউপিএ-র সঙ্গ ছেড়ে মোদীর হাত ধরতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শরদ। তাঁর উদ্যোগেই আজ দিল্লিতে আয়োজিত হয় ‘সাঝি বিরাসত বাঁচাও’ সম্মেলন।

শরদ যাদব।—ফাইল চিত্র।

শরদ যাদব।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৪
Share: Save:

নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে শরদ যাদবের ক্ষোভের মঞ্চ তো নিমিত্ত মাত্র। কিন্তু সেই মঞ্চেই আজ বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে বিঁধল নরেন্দ্র মোদী এবং আরএসএসকে। সেই মঞ্চ থেকে রাহুল গাঁধী বললেন, বিরোধীরা একজোট থাকলে পরের ভোটে আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না মোদীর দলকে!

নীতীশ ইউপিএ-র সঙ্গ ছেড়ে মোদীর হাত ধরতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শরদ। তাঁর উদ্যোগেই আজ দিল্লিতে আয়োজিত হয় ‘সাঝি বিরাসত বাঁচাও’ সম্মেলন। কংগ্রেস থেকে এনসিপি, বাম-তৃণমূল, এসপি-বিএসপি— প্রায় সব বিরোধী দলই ছিল মঞ্চে। ছিলেন মনমোহন সিংহও। সকলে মিলে তুলোধনা করে মোদী-আরএসএসকে। রাহুল বলেন, ‘‘সংবিধান আমাদের এক ব্যক্তি, এক ভোটের অধিকার দেয়। কিন্তু আরএসএস সংবিধান বদলাতে চায়। নিজেদের আদর্শে ভোটে জিততে পারবে না বলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তারা নিজেদের লোক নিয়োগ করছে।’’ রাহুলের মতে, ‘‘লড়াই এখন দু’টি মতের। ওরা বলে, দেশ আমার। আমরা বলি, আমরা দেশের। ফারাক এখানেই।’’ এর পরেই নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে রাহুলের বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বচ্ছ ভারত’ চাই। দরকার ‘সচ (সৎ) ভারত’। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, মিথ্যা বলেন। একটি প্রতিশ্রুতিও রাখেন না। মুখে বলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। অথচ সব সামগ্রী চিনের।’’ সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ২০১৭-২০২২ এই পাঁচ বছরের সময়সীমার সঙ্গে ১৯৪২-১৯৪৭-এর মিল পেয়েছেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই দেশভাগের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ইংরেজরা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করেছিল। প্রধানমন্ত্রীও কি এ রকম কোনও বিভাজনের ইঙ্গিত দিলেন?’’ তৃণমূলের সুখেন্দু শেখর রায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম কেন্দ্রের অপশাসন ও আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে ডাক দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: অমিত কি ‘সুপার পিএম’, অসন্তোষ বিজেপির অন্দরেই

বিরোধী মঞ্চ থেকে যে সম্মিলিত সুরটি উঠে এল, সকলের শেষে তা শোনালেন খোদ শরদ যাদবই। রাহুলের সুরেই বললেন, লোকসভা ভোটে এনডিএ পেয়েছিল ৩১ শতাংশ ভোট। আর আজকের মঞ্চে হাজির দল পায় ৬৯ শতাংশ। ফলে সকলে একজোট হলেই মোদী ফুৎকারে উড়ে যাবেন। বিরোধীদের এই ঐক্যকে কটাক্ষ করে মোদী সরকারের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘এটি ভয়ের জোট। মোদী-আতঙ্ক। দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে নেতারা পদক্ষেপের ভয় পাচ্ছেন বলেই জোট বাঁধছেন। পরের ভোটে এই জোট আবার হারবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE