সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
দলিত সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্ধ ঘিরে সোমবার উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯ জন। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে, সে কথা বুঝেই তফসিলি জাতি ও উপজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন লঘু না করার আর্জি নিয়ে সোমবার তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গিয়েছিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার তা শুনবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এ দিন বেলা দুটো নাগাদ কেন্দ্রের আর্জি শুনবে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এ কে গোয়েল এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চে ওই শুনানি হবে।
পাশাপাশি, এ দিনই দলিত সংঘর্ষ নিয়ে লোকসভায় বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সোমবারের সংঘর্ষ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ইস্যুতে এ দিন সংসদের সামনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও।
ওই আইন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ক্ষোভ জমা হচ্ছিল দলিতদের মধ্যে। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক পদক্ষেপে। শীর্ষ আদালত জানায়, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার আটকাতে যে আইন রয়েছে, অনেক সময়েই তার অপব্যবহার হয়। সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অত্যাচারের অভিযোগ এলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানায় কোর্ট। আর কোনও নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তাঁকে গ্রেফতারের আগে ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও পুলিশ আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করানোর কথাও বলা হয়।
আরও পড়ুন: দলিত মিছিলে গুলি, নিহত ৯
এর পরই তফসিলি জাতি ও উপজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন লঘু করা হচ্ছে বলে মনে করে কিছু দলিত সংগঠন। তার পরই সোমবার দেশ জুড়ে ভারত বন্ধ-এর পথে যায় তারা। হিংসা ছড়ায় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে।
আরও পড়ুন: মুখ ফেরালেন দলিতরাও, চাপে বিজেপি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy