ফাইল চিত্র।
কেজরীবাল আদৌ ঘুষ নিয়েছিলেন কি না তা সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে দুর্নীতিদমন শাখাকে রিপোর্ট জমা দিতে বললেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল। রবিবার দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজাল–এর সঙ্গে দেখা করে কেজরীবাল-সহ আপের অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ জানিয়ে আসেন বরখাস্ত হওয়া মন্ত্রী কপিল মিশ্র। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দুর্নীতিদমন শাখাকে এই নির্দেশ দেন তিনি।
এ দিকে বরখাস্ত মন্ত্রী কপিল মিশ্রও তাঁর কথামতো সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লির দুর্নীতিদমন শাখায় গিয়ে হাজির হন। কেজরীবাল-সহ দিল্লির বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তিনি তুলেছেন তা নিয়ে তথ্যপ্রমাণ দিতেই সেখানে যান তিনি। আপ সরকারের ৪০০ কোটি টাকার জলট্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তথ্য ও নথিতথ্যও দিয়ে এসেছেন দুর্নীতি দমন শাখায়।
দুর্নীতিদমন শাখা সূত্রে খবর, এ দিন গোয়েন্দা অফিসারদের সঙ্গে ঘণ্টা খানেক কথা বলেন তিনি। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার পাশাপাশি, তিনি গোয়েন্দা অফিসারদের কাছে লাই-টেস্ট এর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার দু’দিন কেটে গেলেও কেজরীবাল এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। রবিবার টুইট করে ফ্রান্সের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরকে অভিনন্দন জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, অথচ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগ নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং স্বাস্থ্য ও পূর্তমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন অবশ্য কপিল মিশ্রের অভিযোগ প্রথম থেকেই পুরোপুরি অস্বীকার করে আসছেন। কে ঠিক কথা বলছেন তা খোলসা করতেই দুর্নীতিদমন অফিসারদের লাই-টেস্ট করতে বলেন কপিল।
আরও পড়ুন: দু’কোটি ক্যাশ নিতে দেখেছি কেজরীকে, তোপ আপের বরখাস্ত মন্ত্রীর
এ দিন দিল্লির দুর্নীতিদমন শাখার অফিস থেকে বেরিয়ে কপিল মিশ্র বলেন, ‘‘দুর্নীতির সমস্ত তথ্য জমা দিলাম। তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছেও যাব। এটা একটা রাজনৈতিক পদক্ষেপ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছি। আমি কাউকে ভয় পাই না। আমার সঙ্গে ঈশ্বর আছেন।’’
শনিবার দিল্লির পর্যটন এবং জলমন্ত্রকের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর কপিল মিশ্র আপ নেতাদের কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। রবিবার তিনি তোপ দাগেন, অরবিন্দ কেজরীবালকে নিজের চোখে সত্যন্দ্র জৈনের কাছ থেকে নগদ দু’কোটি টাকা নিতে দেখেছেন তিনি। চোখের সামনে এমন কাণ্ড দেখে চুপ করে বসে থাকতে না পেরেই তিনি উপ-রাজ্যপাল এবং দুর্নীতিদমন শাখায় অভিযোগ করেন বলে তাঁর দাবি। প্রতিবাদ জানানোর ফলেই কেজরীবাল তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ কপিলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy