শিক্ষাব্যবস্থাকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবি তুলে কাল আসর বসাচ্ছে আরএসএস। আর দু’দিনের এই সম্মেলনের জন্য সঙ্ঘ বেছে নিয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ভীমরাও অম্বেডকর মহাবিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস আগামী দু’দিন এক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। যেখানে আলোচনার মূল বিষয় হল, ‘শিক্ষার স্বায়ত্ত্বশাসন’। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংস্থার প্রধান দীননাথ বাত্রা এই সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক। যিনি এর আগে রবীন্দ্রভাবনা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বলে পাঠ্যপুস্তক থেকে তা বাদ দিতে বলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও তাঁর কোপে পড়েছিলেন গালিব, বামপন্থী পঞ্জাবি কপি পাশ, চিত্রকর এম এফ হুসেনও। স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময় থেকে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষাব্যবস্থা বদলের দাবি তুলে আসছেন বাত্রা।
এ বারে তাঁদের দাবি হল, শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিভিন্ন বোর্ড রয়েছে, সেগুলিও তুলে দিতে হবে। বদলে একটি স্বাধীন শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। যাদের কাজ হবে বিভিন্ন রাজ্যে, এমনকী জেলাতেও সেই এলাকার চরিত্র অনুযায়ী পৃথক পাঠ্যসূচি হবে। পাঠ্যপুস্তকও এক এক ক্ষেত্রে আলাদা হবে। কোন বিষয় ছাত্র-ছাত্রী পড়তে চায়, সেটি তারাই ঠিক করবে। কোনও কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হবে না। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘এখন কোনও স্কুলে এমনকী শিক্ষকদের মধ্যেও কোনও স্বাধীনতা নেই। পুরোটাই উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক স্তর থেকেই এই ব্যবস্থার বদল দরকার। আগামিকাল যা খোলসা করা হবে।’’
বিরোধীদের মত, আসলে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার কথা বলে আরএসএস নিজেদের গেরুয়াতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীরা নিয়মিত সঙ্ঘের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানেও গৈরিকীকরণের চেষ্টা হচ্ছে। সেখানকার উপাচার্যও এখন আরএসএসের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করছে, কেন্দ্রের মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সব শিবিরের সঙ্গেই কথা বলতে পারেন। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy