প্রতীকী ছবি।
এগিয়ে এখন ভারতই। সিরিয়া নয়। অন্তত জঙ্গি হামলার নিরিখে। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বার্ষিক মার্কিন রিপোর্টে এমন পরিসংখ্যানই উঠে এসেছে।
তাদের গত এক বছরের হিসেব ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০১৬’ অনুযায়ী, ভারতে জঙ্গি হামলা বেড়েছে অন্তত ১৬ শতাংশ। আর তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। সারা বিশ্বে সে তুলনায় জঙ্গি হামলার হার কমেছে ৯ শতাংশ। আর সন্ত্রাসবাদী হামলার কবলে পড়ে বিশ্ব জুড়ে নিহতের সংখ্যাও কমেছে ১৩ শতাংশ। আফগানিস্তান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং ইয়েমেনে তুলনামূলক ভাবে জঙ্গি হানা কমেছে।
২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার নিরিখে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে বলে ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে। প্রথমে রয়েছে ইরাক, তার পরে আফগানিস্তান। ওই রিপোর্টে রয়েছে, ‘‘২০১৬ সালে যে সব দেশ প্রচুর জঙ্গি হামলা এবং তার অভিঘাত সহ্য করেছে, তাদের মধ্যে ভারত আরও একটি দিক থেকেও এগিয়ে। ভারতে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সংখ্যাও অন্য দেশের তুলনায় বেশি। এমন ৫২টি গোষ্ঠী রয়েছে এখানে। আর ভারতের মাটিতে এই ধরনের হামলার দুই তৃতীয়াংশের দায় চেপেছে মাওবাদীদের উপরে।
আরও পড়ুন: বেঙ্কাইয়ার নিশানায় পাকিস্তান
মার্কিন রিপোর্টে যে সব জঙ্গি গোষ্ঠী সব চেয়ে বেশি সংখ্যক হামলা চালানোয় অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে মাওবাদীদের স্থান তৃতীয়। শীর্ষে রয়েছে ইসলামিক স্টেট আর দ্বিতীয় স্থানে তালিবান। মাওবাদীদের পিছনে রয়েছে বোকো হারাম।
তবে জঙ্গি হামলার জেরে মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে ভারতের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে অন্য দেশ। এ ছাড়াও জঙ্গি হানার পরে পণবন্দি বা অপহরণের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যানগত দিক থেকে ভারতের হার কমেছে ৬৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে যা ছিল ৮৬৬, পরের বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৭-য়। ভারতের যে সব রাজ্যে বেশি জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। জম্মু ও কাশ্মীর (১৯ শতাংশ), ছত্তীসগঢ় (১৮ শতাংশ), মণিপুর (১২ শতাংশ) এবং ঝাড়খণ্ড (১০ শতাংশ)। ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা বেড়ে গিয়েছে ৯৩ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy