তিনি কি রাজনীতিতে আসবেন? নাকি এখনই আসবেন না?
গত কয়েক দিন ধরেই রজনীকান্তের রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে জোর জল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে। সেই জল্পনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন থালাইভা স্বয়ং। রাজনীতিতে আসার খবর সরাসরি অস্বীকার না করে তিনি কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, ‘‘আমি জীবনে কী কী করব তা ভগবানের সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে তিনি চাইছেন আমি অভিনয় করি। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি। যদি ভগবান চান, আমি হয়তো আগামিকাল রাজনীতিতে যোগ দেব।’’ এর পর জল্পনাকে আরও একধাপ উস্কে দিয়ে সুপারস্টার ঘুণধরা রাজনীতির সমালোচনা করে বসলেন। বললেন, ‘‘গোটা ব্যবস্থাটাই পচে গিয়েছে। পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।’’ রজনীর এই বক্তব্যের পর ফের জল্পনা শুরু হয়েছে, পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব কি নিজের কাঁধে তুলে নেবেন তিনি?
আরও পড়ুন, রাজনীতিতে আসছেন? জল্পনা বাড়ালেন রজনীকান্তই
২০১৬-এর ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুর পর অনেকেই ভেবেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ হিসেবে হয়তো এ বার রজনী রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ইদানীং রজনীর রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। রজনীকান্ত রাজনীতিতে যোগ দিলে আমূল বদলে যাবে দক্ষিণী রাজনীতির চালচিত্র। অন্তত এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুক্রবার রজনী তাঁর অনুরাগীদের বলেন, ‘‘স্ট্যালিন, অনুবুমানির মতো ভাল নেতারা রয়েছেন। কিন্তু সিস্টেমটা পচে গেলে ওঁরা কী করবেন? মানসিকতার বদল প্রয়োজন। আমার নিজস্ব কাজ রয়েছে। আপনারাও নিজের কাজে ফিরে যান। যুদ্ধের সময় আবার দেখা হবে। তখন আমি ডেকে নেব আপনাদের।’’
প্রশ্ন উঠছে, কোন যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছেন রজনী? তিনি কি সত্যিই রাজনীতিতে আসছেন? এ দিনও ধোঁয়াশা বজায় রেখে রজনীর জবাব, ‘‘প্রতিপক্ষ ছাড়া রাজনীতিতে আসার কোনও মানে নেই।’’ এর মাধ্যমে রজনী কি বোঝাতে চাইলেন যে, দক্ষিণী রাজনীতিতে তাঁর সঙ্গে লড়ার মতো কোনও প্রতিপক্ষ এখনও নেই? উঠছে প্রশ্ন। যদিও তাঁর অনুরাগীরা মনে করেন, জয়ললিতার মৃত্যুর পর দক্ষিণী রাজনীতির সিংহাসন খালি। সেটা ভরাট করতে পারেন একমাত্র রজনীকান্ত।
তামিলনাড়ুতে কি বিজেপির মুখ হতে চলেছেন রজনী?— ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রজনীর জনপ্রিয়তাকে সামনে রেখে দক্ষিণ ভারতে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইছে বিজেপি। সম্প্রতি বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এইচ রাজা বলেন, ‘‘রজনীকান্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সব সময়ই গেরুয়া দলে তাঁর জন্য দরজা খোলা। উনি যে কোনও সময় রাজনীতিতে আসতে পারেন। তবে যত ক্ষণ উনি কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না, ততক্ষণ আমরা অপেক্ষা করব।’’ রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়ে এ দিন রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা জিইয়ে তো রাখলেনই, আরও বাড়িয়ে দিলেন রজনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy