কংগ্রেসের হাল ধরবেন আর কিছু দিন পরেই। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, সেই রাহুল গাঁধীর প্রাপ্তমনস্কতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বস্তি উচ্ছেদ নিয়ে আপের ধর্নার প্রেক্ষিতে সোমবার অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “রাহুল তো এখনও শিশু!”
এর আগে রাহুল গাঁধীর কটাক্ষ করেছিলেন, “কেন ধর্নায় বসেছে আপ? তারা ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তো উচ্ছেদ হয়েছে!” এই মন্তব্যের পর পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল। রাহুলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “রাহুল তো এখনও শিশু! বোধহয় ওঁর পার্টি এটা জানায়নি যে, রেল কেন্দ্রের অধীনস্থ, দিল্লি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নয়।”
আরও পড়ুন: শীতের রাতে বস্তি উচ্ছেদ, শিশুমৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত রাজধানী
রেল মন্ত্রকের উপরে ঘটনার দায় চাপিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েন কেজরীবাল। সোমবার সকালেই ধর্নায় বসেন সংসদের বাইরে। জানিয়ে দেন, এ বার সংসদের উভয় কক্ষেই প্রতিবাদ জোরদার করবেন। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইতে সঙ্গে পেয়ে যান তৃণমূল এবং ডেডিইউ-কেও। ক্ষমতাসীন হয়েও দিল্লির ঘটনায় যখন কেজরী এতটা তৎপর হয়েছেন, তখন কংগ্রেসের রাজপুত্র কী করছেন? ৪৮ ঘণ্টা পরে এ দিন তিনি গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। সেখানে গিয়ে তোপ দেগেছেন আপ এবং কেন্দ্র— উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই। পাশাপাশি বলেছেন, “যখনই এখানে বস্তি উচ্ছেদ করা হবে, রাহুল গাঁধীকে ডাকবেন। তিনি উচ্ছেদ হতে দেবেন না।” এটি কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আপ নেতা কেজরীবাল। এটি যে কেবলমাত্র ফাঁকা বুলি তা দাবি করে কেজরীর কটাক্ষ, “গত ৪৮ ঘণ্টায় রাহুল গাঁধী কোথায় ছিলেন? তিনি তো বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানেন না! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা থেকে খানিকটা সময় পাওয়ার পর গত কাল তিনি নেহরু স্টেডিয়ামে বসে খেলা উপভোগ করছিলেন। এখন হঠাৎ-ই জেগে উঠেছেন!”
যদিও এ দিন গোটা ঘটনায় বিজেপি এবং আপের ঘাড়ের দোষ দাপিয়েছেন রাহুল। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “আমরা ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় রয়েছে আপ এবং বিজেপি।” আপ সরকারের উপর তাঁর এখনও আস্থা আছে বলেও রাহুলের দাবি, তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না কেজরীবাল সরকার।
এখন দেখার, রাজনৈতিক ময়দানে বিরোধীদের কাছে নিজেকে প্রাপ্তমনস্ক হিসেবে তুলে ধরতে পারেন কি না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy