রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলনে নরেন্দ্র মোদী ও মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারকে বিপাকে পড়তে দেখেই আসরে নামলেন রাহুল গাঁধী। নরেন্দ্র মোদীকে ‘কৃষক বিরোধী’ বলে আজ ফের প্রচার শুরু করল কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস নেতাদের কৃষকদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল। চলতি সপ্তাহের শেষে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনেও কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে পৃথক প্রস্তাব গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি। নিজেও আজ তোপ দাগলেন মোদীকে। সকালে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে ও পরে টুইটে রাহুল জানান, মুম্বইতে কৃষকদের জনস্রোত জনতার শক্তির অদ্ভুত নজির। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নিষ্ঠুর মনোভাবের বিরুদ্ধে কৃষক ও আদিবাসীদের লড়াইয়ের পাশে রয়েছে কংগ্রেস। নিজেদের ‘ইগো’ ভুলে প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, কৃষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।
এর আগে মন্দসৌরে কৃষকদের উপর গুলি চলার ঘটনায় রাহুল নিজে গিয়ে আন্দোলনের শরিক হন। তখন থেকেই কংগ্রেসের সমর্থনে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন গোটা দেশজুড়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। যদিও কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের পতাকার তলায় এই আন্দোলন করছে না। কারণ তাতে কৃষকদের নিজস্ব সমস্যা রাজনীতির রঙে ঢাকা পড়ে যেতে পারে। কৃষকদের দুরবস্থা নিয়ে খোদ আরএসএসও মোদী সরকারের উপরে খড়্গহস্ত হয়েছে। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে বাজেটে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশের ধাঁচে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ঘোষণা করতে হয় নরেন্দ্র মোদীকে। নিজেদের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে গিয়েই বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্যও কৃষি ঋণ মাফ করে।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত পায়ের ভারতের পাশে ইন্ডিয়া
তার পরেও কৃষকদের আন্দোলন ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। আর সেটিকেই আরও উস্কে দিতে আসরে নেমেছেন রাহুল গাঁধীরা। কংগ্রেস আজ সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, কৃষকদের আয় ৬ লক্ষ টাকার উপরে হলে আয়কর দফতর নোটিস পাঠাচ্ছে। অরুণ জেটলির ঘোষণার পরেও দেখা যাচ্ছে, উৎপাদন খরচের উপরে ৫০ শতাংশ মুনাফা-সহ সমর্থন মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি দিন এখনও ৪৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy