কইরানা শহরে দুই দাগি অপরাধী রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে জানিয়েছে, তারা আর কখনও অপরাধ করবে না। ছবি: টুইটার।
একের পর এক অপরাধীকে পুলিশি অভিযানে খতম হওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। কিন্তু তার পরেই কইরানা শহরে দুই দাগি অপরাধী রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে জানিয়েছে, তারা আর কখনও অপরাধ করবে না।
শামলী জেলার কইরানা শহরের সালিম আলি ও ইরশাদ আহমেদের বিরুদ্ধে বহু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তারা একেবারে প্রকাশ্যে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বেরিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘‘অপরাধ করেছি বলে ক্ষমা চাইছি। আর করব না। এ বার সৎ পথে রোজগারের জন্য পরিশ্রম করব।’’ শামলী জেলার পুলিশ সুপারকে দেওয়া এক হলফনামাতেও এ কথা জানিয়েছে ওই দু’জন।
হঠাৎ এমন ‘সুমতি’ কেন?
সালিমের কথায়, ‘‘আর পুলিশের তাড়া খেয়ে দিনরাত পালিয়ে বেড়াতে চাই না। এ বার আমাদের পরিবারের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই।’’
এখনও এই অপরাধীদের কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে রাজি নয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কইরানা থানার ওসি ভগবত সিংহের কথায়, ‘‘বোঝা যাচ্ছে অপরাধীরা এখন পুলিশকে ভয় পাচ্ছে। তবে এদের উপরে কড়া নজর রাখা হবে।’’
কয়েক মাস ধরে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৭-র ২০ মার্চ থেকে ২০১৮-র ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের ১,১৪২টি সংঘর্ষ হয়েছে। ২৫ দিনের মধ্যে ৬০টি সংঘর্ষে ৮ জন অপরাধী খতম হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭৪৪ জনকে।
পুলিশের এমন ‘বাড়াবা়ড়ি’ নিয়ে প্রশ্নের মুখেও পড়েছে যোগী সরকার। সম্প্রতি নয়ডায় পুলিশের গুলিতে সুমিত গুর্জর নামে এক জিম মালিক নিহত হন। ভুয়ো সংঘর্ষে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যোগী সরকারকে নোটিসও পাঠিয়েছে। বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন ১৯৯১ সালে পীলীভীতে পুলিশের গুলিতে ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনাও। জঙ্গি সন্দেহে তাঁদের গুলি করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তে জানা যায়, তাঁরা তীর্থযাত্রা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৪৭ জন পুলিশকর্মী। বিরোধীদের মতে, পুলিশি অভিযানের উপরে সঠিক নজরদারি না থাকলে এমন ঘটনা আবার ঘটতে পারে।
সমাজবাদী পার্টির নেতা রাজেন্দ্র চৌধুরির মতে, ‘‘নয়ডায় ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। পুলিশের এই তথাকথিত অভিযানে মোটেই
অপরাধ কমেনি। বরং যোগী জমানায় অপরাধ বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy