অরবিন্দ কেজরীবাল। ফাইল ছবি।
লাভজনক পদ বিতর্কে বিধায়কদের গদি বাঁচাতে আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। কিন্তু, তার আগেই বরখাস্ত হলেন অরবিন্দ কেজরীবালের দলের ওই ২০ বিধায়ক। নির্বাচন কমিশনের পাঠানো এই সংক্রান্ত সুপারিশে সবুজ সঙ্কেত দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রবিবারই রাষ্ট্রপতি সই করলেন ওই সুপারিশে। ফলে নিশ্চিত হয়ে গেল দিল্লির মিনি বিধানসভা নির্বাচন।
এই ২০ জন বিধায়ক বরখাস্ত হলেও অবশ্য সরকার পড়ছে না। কিন্তু নৈতিকতার কারণ তুলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরীবালের ইস্তফা দাবি করা কংগ্রেস ও বিজেপি যে নতুন করে অস্ত্র হাতে পেয়ে গেল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। অন্য দিকে, বিষয়টি নিয়ে শনিবারই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আপ শিবির। সোমবার ওই মামলার শুনানি হবে।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সর্বোচ্চ ৭ জন মন্ত্রী হতে পারেন। অভিযোগ, মন্ত্রিত্ব পাননি এমন ২১ জন বিধায়ককে বিভিন্ন দফতরের পরিষদীয় সচিবের পদে এনে বাংলো, গাড়ি ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল কেজরীবাল সরকার।
আরও পড়ুন: বরখাস্তের সুপারিশ ২০ আপ বিধায়ককে
পরিষদীয় সচিব পদটিকে ‘লাভজনক পদ’-এর বাইরে রেখে একটি বিল ২০১৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছিল দিল্লি সরকার। রাষ্ট্রপতির কাছে আপত্তি জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলেন প্রণববাবু। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ২১ জন বিধায়ককে শো-কজ নোটিস পাঠায় কমিশন।
আরও পড়ুন: মরিয়া আপ যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে
গত শুক্রবার কমিশন রাষ্ট্রপতিকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। তাতে ওই বিধায়কদের বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়। এর পরই ওই রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে আপ বলে, ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্ট পরিষদীয় সচিব হিসেবে বিধায়কদের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিল। পদগুলি বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধোপে টেঁকে না। কিন্তু কমিশনের যুক্তি, ২০১৫-র মার্চ থেকে ২০১৬-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই বিধায়কেরা পরিষদীয় সচিব ছিলেন। অতএব তাঁদের নাম বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy