প্রদ্যুম্ন ঠাকুর।
পরিবারের দাবি মেনে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যা রহস্য ভেদ করার দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল হরিয়ানার খট্টর প্রশাসন। আজ প্রদ্যুম্নের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। গত সপ্তাহে গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শৌচাগারে হামলার শিকার হয় প্রদ্যুম্ন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুনের অভিযোগে ওই স্কুলের বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু শুরু থেকেই গুরুগ্রাম পুলিশের তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে এসেছে প্রদ্যুম্নের পরিবার। তার পিতা বরুণ ঠাকুরের অভিযোগ, ওই স্কুলের বড় মাপের কোনও কর্তাকে বাঁচাতে তৎপর গুরুগ্রাম পুলিশ। উপরন্তু প্রথমে দোষ স্বীকার করলেও, ধৃত অশোক কুমারের স্ত্রী মমতার অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ চাপ দিয়ে তাঁকে দিয়ে হত্যা করার কথা বলিয়ে নিয়েছে। অশোকের কাছে কোনও ছুরি ছিল না। অশোক নির্দোষ। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে অশোকের পরিবারও। এ দিকে, অশোকের পাশাপাশি ওই স্কুলের মালি হরপাল সিংহকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে হরিয়ানা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
আরও পড়ুন: কাঠের মিস্ত্রি সেজেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল বোরহান
রায়ান স্কুলের ঘটনায় যে ভাবে বিরুদ্ধ জনমত তৈরি হচ্ছিল, তাতে ঝুঁকি না নিয়ে আজ সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করে দেন খট্টর। আজ প্রদ্যুম্নের বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, শুরু থেকেই যখন সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছিল, তখন প্রায় এক সপ্তাহ সময় নষ্ট করার অর্থ কী!
প্রদ্যুম্নের পরিবারের মতে, এই সাত দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে গিয়েছে। যা সম্ভবত কাজে লাগত সিবিআইয়ের। আগামী কাল স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামার কথা রয়েছে সিবিআইয়ের। নতুন করে ধৃত অশোক কুমারকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য তারা আদালতের কাছে আবেদন করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy