রাষ্ট্রবিজ্ঞান শেখায় রান্না— রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারিণীর এমন উত্তর ঘিরে উত্তাল বিহার!
টেলিভিশন চ্যানেলের ‘স্টিং-অপারেশন’-এ এখানেই থামেননি সেই রুবি রায়। ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স’ তাঁর উচ্চারণে হয়েছে ‘প্রডিকাল’। শুধু তাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক সর্বমোট কত নম্বরের মধ্যে হয়, তারও ভুল জবাব দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ওই ভিডিও আগুনের মতো ছড়িয়েছে। সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়ে এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ। বিহারের শিক্ষমন্ত্রী অশোক চৌধুরীও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি ভিডিওটি দেখেছি। রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়। অবশ্যই তদন্ত হওয়া দরকার।’’ তবে একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, এটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিহারের ছাত্রছাত্রীদের মান যথেষ্ট ভাল।
বিহারে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল কয়েক বছর ধরেই। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে দিকে নজর দিতে চাননি। নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর তুমুল অস্বস্তির মুখে পড়েছে প্রশাসন। বিহারের স্কুলশিক্ষা ও তার মূল্যায়ন নিয়ে সংশয় ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কয়েক দিন আগেই ফলপ্রকাশ হয়েছে বিহার বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতির। ৫০০ নম্বরের পরীক্ষায় ‘টপার’ রুবি পেয়েছেন ৪৪৪। ‘স্টিং অপারেশনে’ বিদ্ধ হয়েছেন তিনিই। মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা বিহারের ওই ছাত্রী বলেছেন, উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বমোট নম্বর ৬০০। শুধু রুবিই নন, বিজ্ঞান বিভাগে মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা বৈশালী জেলার সৌরভ শ্রেষ্ঠ-র যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইলেকট্রন এবং প্রোটন কী তা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি তিনি। ৫০০ নম্বরে সৌরভ পেয়েছেন ৪২৬।
মেধা তালিকার প্রথমে থাকা দু’জনই বৈশালীর ভগবানপুরের বিশুন রায় কলেজের পড়ুয়া। উল্লেখ্য গত বছরও ওই কলেজের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি সে সময়ে কলেজের ফলপ্রকাশ বন্ধ করেছিলেন।
রাজ্য শিক্ষা দফতর এ নিয়ে নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিহার বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতির বিরুদ্ধে। সমিতির সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন দফতরের আধিকারিকরা। শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লালকেশ্বর প্রসাদ সিংহ। তিনি আজ বলেন, ‘‘সকলের উত্তরপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ফের তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করা হবে। মেধা তালিকার প্রথম দিকে থাকা ছাত্রছাত্রীদের ডেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এর পরে বোর্ডের সদস্যেরা আইনি পরামর্শ নিয়ে উচিত পদক্ষেপ করবেন।’’
এ দিন অবশ্য রুবি রায়ের পরিবারের লোকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেননি। একই ভাবে সৌরভের মোবাইলে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরেই তিনি ফোন কেটে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy