Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

জনস্বার্থ মামলা খারিজ, পিএনবি কাণ্ডে হস্তক্ষেপে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

পিএনবি কাণ্ডে নিজের মতো করে পদক্ষেপ করার অধিকার সরকারের রয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এখনই হস্তক্ষেপ করতে চায় না। জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

সরকারের কাছ থেকে তদন্তের বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হোক, আর্জি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টেরই এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্ট সে আর্জি মানেনি। —পিটিআই থেকে নেওয়া ফাইল চিত্র।

সরকারের কাছ থেকে তদন্তের বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হোক, আর্জি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টেরই এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্ট সে আর্জি মানেনি। —পিটিআই থেকে নেওয়া ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:০১
Share: Save:

পিএনবি কাণ্ডের তদন্তে এখনই হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। কী প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে তদন্ত, কী পদক্ষেপ করছে সরকার, সে সম্পর্কে স্টেটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠাক সর্বোচ্চ আদালত— এই আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত ঢান্ডা। কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এই আর্জির বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, সরকারকে আগে নিজের মতো করে তদন্ত ও পদক্ষেপ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।

বিনীত ঢান্ডার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাটি বুধবার সুপ্রিম কোর্টে উঠতেই অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, তিনি এই আর্জির বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে, এফআইআর হয়েছে, ... প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।’’ গোটা প্রক্রিয়ায় এই মুহূর্তে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলে অ্যাডভোকেট জেনারেল মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়ালেই সম্মতি দেয়। সরকার যখন নিজের মতো করে পদক্ষেপ করছে, তখন সু্প্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করবে না বলে বেঞ্চের তরফে জানানো হয়। ‘‘যদি সরকার কিছু না করত, তা হলে বিষয়টা অন্য রকম হত।’’— মন্তব্য করে বেঞ্চ।

পিএনবি কাণ্ডে সরকার যে পদক্ষেপ করছে এবং যে পথে তদন্ত এগোচ্ছে, তাতে এখনই নাক গলাতে চায় না সর্বোচ্চ আদালত। জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। —ফাইল চিত্র।

মামলাকারী আইনজীবী বিনীত ঢান্ডা অবশ্য নিজের দাবি থেকে সরতে চাননি। সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে, সে সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট বা হলফনামা চেয়ে পাঠানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকারকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট— এমনই দাবি করেন ঢান্ডা। দু’মাসের মধ্যে নীরব মোদীকে দেশে ফেরাতে হবে এবং ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়ার এবং তা উদ্ধার করার নীতি ঢেলে সাজতে হবে— সরকারকে এমন নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। দাবি করেন ঢান্ডা।

আরও পড়ুন: মাল্যদের ফেরাতে কত খরচ, নীরব সিবিআই

সুপ্রিম কোর্ট এই দাবি মানেনি। প্রভাবশালী লোকজন এবং ব্যাঙ্ককর্তাদের মধ্যে যোগসাজসের কারণে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ কেন ভুগবেন? প্রশ্ন তোলেন ঢান্ডা। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্ট চাইবে না কেন? এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন: টানা জেরার মুখে কলম-কর্তা

মামলাকারী আইনজীবীর এই সওয়ালে অবশ্য গুরুত্ব দেয়নি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বরং ঢান্ডার চড়া কণ্ঠস্বরে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। বেঞ্চ বলে, ‘‘সৌভাগ্যজনক বা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা শুধুমাত্র আইনসঙ্গত সওয়াল-জবাবকেই গুরুত্ব দিই। আবেগপ্রবণ আবেদন নিয়ে আমরা ভাবিত নই, সুতরাং আইনের কথা বলুন...। অ্যাডভোকেট জেনারেলের কথা শোনার সময়েও আমরা শুধু আইনি যুক্তিই শুনব এবং তার উপরে দাঁড়িয়ে তাঁর আপত্তির যথার্থতা বিচার করব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE