কৃষকদের জন্য ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস) নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে কৃষক বিক্ষোভের সময়ে বার বার এই ন্যূনতম মূল্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার। কৃষক নেতাদের দাবি, সরকার চাষের খরচের দেড় গুণ মূল্য দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু সেই খরচের সংজ্ঞা কী তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কৃষক নেতাদের মতে, চাষের মূল খরচ, কৃষকের পরিবারের সদস্যদের শ্রমের মূল্য ও ভূমিহীন কৃষকের জমি ভাড়া নেওয়ার খরচ ধরে চাষের খরচের হিসেব করতে হবে। সেই খরচের দেড় গুণ মূল্য দিলে তবেই চাষিরা ঋণের জাল থেকে বেরোতে পারবেন।
আজ দিল্লিতে ‘কৃষি উন্নতি মেলা’য় সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘চাষের খরচের মধ্যে শ্রমিক ভাড়া নেওয়ার খরচ, যন্ত্রপাতি ও পশু ব্যবহারের খরচ, বীজ ও সারের দাম, সেচের খরচ, মূলধনের উপরে সুদ, জমি ভাড়া নেওয়ার খরচ, রাজ্য সরকারের আয় ধরা হবে।’’ নাম না করেই বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘‘কোনও কোনও শিবির বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কৃষকদের হতাশা তৈরি বাড়াচ্ছে।’’
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চন্দের মন্তব্যে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে। রমেশের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চাষের মূল খরচ ও কৃষকের পরিবারের সদস্যদের শ্রমের দাম ধরে খরচ নির্ধারণের কথা বলছেন। এই খরচের সব অংশের সঙ্গে সকলে পরিচিত নয়। উনি বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন।’’
মোদীর দাবি, কৃষিজাত পণ্য বিপণন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। গ্রামীণ বাজার, পাইকারি বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজারের মধ্যে সরাসরি সংযোগ তৈরি করা হচ্ছে। কৃষকেরা ‘কৃষক উৎপাদন সংস্থা’র মাধ্যমে কৃষিজাত পণ্য বিক্রি করলে আরও লাভবান হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সমবায় সংস্থার মতো ওই উৎপাদন সংস্থাগুলিকেও আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy