সংসদের বাইরে সৌজন্য বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ছবি:পিটিআই।
টান টান রাজনৈতিক চিত্রনাট্য। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলেন পূর্বসুরির দিকে, করমর্দন করলেন হাসিমুখে। হাতজোড় করে চলল নমস্কার এবং প্রতি নমস্কার। কমতি রইল না সৌজন্য বিনিময়েও।
প্রথম জন বর্তমান এবং দ্বিতীয় জন প্রাক্তন। দু’দিন আগের তিক্ততা ভুলে সংসদ ভবনের বাইরে মোদী-মনমোহনের এই হাত মেলানোর দৃশ্যই বুধবার সকালে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন সনিয়া-রাহুল, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংহ-সহ কংগ্রেস ও বিজেপি-র একগুচ্ছ নেতামন্ত্রী।
২০০১ সালের এই দিনেই সংসদে জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী-সহ ন’জনের। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ দিন সংসদ ভবনে জমায়েত হয়েছিল শাসক ও বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন:
কদর্যতা আর ক্রোধ মোছাই লক্ষ্য রাহুলের
মনমোহন যে ভাবে মোদীকে শাণিত আক্রমণ করে ‘ক্ষমা’ চাইতে বলেছেন, তার পরে মোদী-মনমোহনের হাত মেলানো এবং আলাপচারিতার দৃশ্য স্বভাবতই চোখ টেনেছে। এই দিনের দৃশ্য দেখে বোঝাই যায়নি দু’দিন আগেই ধারালো বাক্যবানে একে অপরকে ফালাফালা করেছেন।
গুজরাত ভোটে পাকিস্তানকে টেনে এনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ ছিল, মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে নৈশ-ভোজের নামে পাকিস্তানের লোকেদের সঙ্গে গোপন বৈঠক সেরেছে কংগ্রেস। আইয়ারের বাড়িতে যে বৈঠকের দিকে মোদী আঙুল তুলেছিলেন, সেটি ছিল প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ মেহমুদ কাসুরির সম্মানে নৈশভোজ। একটি আলোচনা সভায় দিল্লি এসেছিলেন কাসুরি। ৬ ডিসেম্বরের ওই নৈশভোজে মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কপূর, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংহেরাও হাজির ছিলেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের মতো ব্যক্তিদের দিকে কালি ছেটানোর অভিযোগে মোদীকে ‘ক্ষমা’ চাইতে বলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy