উনায় দলিত-নিগ্রহের সেই ঘটনা।
গুজরাতে গো-হত্যার অভিযোগে দলিত-নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে বুধবার তোলপাড় হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষ। বিরোধীদের তুমুল সমালোচনা, হই-হট্টগোলে দু’-দু’বার পণ্ড হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। তুমুল বাগবিতণ্ডা হয় লোকসভায়। কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টির তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে হল কেন্দ্রকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বলতে হল, ‘‘এই ধরনের মানসিকতা এ বার বদলাতে হবে।’’ পরে তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীও (নরেন্দ্র মোদী) এই ঘটনায় যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।’’ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘সংগঠিত আক্রমণ চলছে দলিতদের ওপর, দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।’’
এ দিন অধিবেশন শুরু হতেই রাজ্যসভায় গুজরাতের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদরা। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলিত-নিগ্রহের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। সকালে সংসদ শুরু হওয়ার আগে দলীয় সাংসদদের বৈঠকে এ দিন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বলেন, ‘‘সরকার (বিজেপি) কী ভাবে সামাজিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে, গুজরাতের ঘটনা তার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ।’’ সনিয়া-পুত্র কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী আগামী কাল যাচ্ছেন আমদাবাদ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে সেই উনায়, যেখানে দলিত-নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার উনায় যাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
দেশজুড়ে জোরালো প্রতিবাদ, সমালোচনার মুখে পড়ে লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘তা সে গুজরাতের দলিতরাই হোন বা তাঁরা অন্য কোনও দলের হাতে থাকা রাজ্যের বাসিন্দা হোন, আমরা সব সময়েই দলিতদের সমব্যথী। আমরা সব সময়েই দলিতদের পাশে থাকব। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে দিকে আমাদের নজর দিতেই হবে। আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে।’’
গত ১১ জুলাই গুজরাতের উনায় গো-হত্যার অভিযোগে দলিত সম্প্রদায়ের চার জনকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুন- গাঁধী খুনে নাম কেন সঙ্ঘের, তিরস্কারে রাহুল অনড়ই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy