‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’(সিবিএফসি)-এর প্রধানের পদ থেকে পহ্লাজ নিহালনির অপসারণের দিন কি এসে গেল?
ঠারেঠোরে সেটাই শুক্রবার বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। নিজেকে ‘প্রধানমন্ত্রীর চামচা’ বলতে বিন্দুমাত্র সংকোচ বোধ করেননি নিহালনি, কিন্তু সেটা যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারই ইঙ্গিত মিলল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে।
শুক্রবার রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য করার কোনও অর্থ হয় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ‘প্রধান সেবক’ বলে মনে করেন। তিনি ওই পরিচয়ই বেশি পছন্দ করেন। কারণ, তিনি মনে করেন, দেশের সেবা করতেই তিনি ওই পদে আসীন হয়েছেন। আমার মনে হয়, প্রধান সেবকের কোনও চামচার প্রয়োজন হয় না।’’
আরও পড়ুন- কাবুলে জঙ্গিরা তুলে নিয়ে গেল কলকাতার মেয়েকে
‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিটি সেন্সর বোর্ডের কাঁচির কোপে পড়ার পর দেশজুড়ে বিতর্কের মুখে নিহালনি বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, অনুরাগ কাশ্যপ (ছবিটির পরিচালক) যা বলেছেন, আমি তা-ই। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চামচা। মোদীর চামচা হওয়ার জন্য আমি গর্ব বোধ করি। ওঁর চামচা না হয়ে আমি কি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর চামচা হব?’’ নিহালনির ওই আলটপকা মন্তব্যের পর বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি হয়। গুঞ্জন শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। অনেকেই বলতে শুরু করেন, সিবিএফসি-র প্রধানের পদে সরকার যে তার ‘খুব কাছের লোক’কেই বসিয়েছে, তা সরাসরি প্রমাণিত হল। আর সেটাই বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের।
সেই বিড়ম্বনার হাত থেকে মুক্তি পেতেই প্রকাশ্যে সরকারের এটা বুঝিয়ে দেওয়াটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল যে, প্রশাসক আনুগত্য পছন্দ করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে স্তাবকতা? নৈব নৈব চ! আর প্রধানমন্ত্রী মোদীরও সেটা আদৌ পছন্দ হয়নি।
হয়ত আরও এক বার এটাও প্রমাণ হল, সহজ কথা যায় না বলা সহজে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy