ভক্তমাঝে: পাগড়ি-মালায় বরণ রাহুলকে। রবিবার গুজরাতের বনাসকাণ্ঠায়। ছবি: পিটিআই।
বিজেপিকে বললেন ‘গোমড়ামুখোর দল’। আবার পোষ্য ‘পিডি’র কথাও তুললেন। জানিয়ে দিলেন, রাজনীতি নিয়ে তাঁর যে সমস্ত ঝাঁঝালো টুইট ঘিরে ইদানীং চর্চা চরমে, সেগুলো তিনি নিজেই করে থাকেন।
আজ গুজরাতের বনাসকাণ্ঠার জনসভায় বিজেপিকে নিয়ে টানা রসিকতা করতে থাকেন রাহুল। শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘মোদীর সভায় কারও মুখে হাসি নেই। মুখ গোমড়া করে বসে থাকে সবাই। আর দেখুন, আমাদের এখানে সবাই সুখী মানুষ। নিজেদের দোষ স্বীকার করে আমরা এগিয়ে যাই।’’
এর পরে পালনপুরে কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে রাহুল বলেন, ‘‘মোদীজি যখন বিরোধী দলের নেতা, উনি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করে কথা বলতেন। কিন্তু আমরা তা করব না।’’ বিজেপির সঙ্গে মতভেদ থাকায় মোদীর সমালোচনা করলেও কংগ্রেস কখনওই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির অসম্মান করতে রাজি নয় বলেই জানিয়ে দেন রাহুল। কংগ্রেস সহ-সভাপতির কথায়, ‘‘মোদীজি আমাদের নিয়ে কী বললেন সেটা বড় ব্যাপার নয়। তবে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে খারাপ শব্দ প্রয়োগ করব না।’’
এ দিন গুজরাতের সভায় দলের এক কর্মী রাহুলের ধারালো টুইটগুলোর রহস্য জানতে চান। সপ্তাহ দুয়েক আগে পোষা কুকুর ‘পিডি’-র ভিডিও টুইটারে দিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘আমার হয়ে টুইটগুলো ও-ই করে।’ এ দিন প্রশ্ন শুনে কংগ্রেস সহ-সভাপতি আবার বলেন, ‘‘আপনাদের বলেছিলাম, পিডি টুইট করে।’’ সঙ্গে সঙ্গে এক প্রস্ত হাততালি। এ বার রাহুল যেন একটু সিরিয়াস। বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয় নিয়ে গভীের ভাবলে চার-পাঁচ শব্দেও ব্যাপারটা বলা যায়। আমাদের তিন-চার জনের একটা টিম আছে। আমি তাঁদের কিছু পরামর্শ দিই। তার পর সেগুলোই সাজিয়ে নিয়ে আমরা টুইট করি। রুটিন টুইট— যেমন কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, এগুলো আমি করি না। রাজনীতি নিয়ে যে টুইটগুলো থাকে, সেগুলো আমার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy