এ দিনের মতো মুলতুবি হয়ে গেল সংসদ। প্রতীকী ছবি।
হিসাবের মারপ্যাঁচে হয়তো কিছুই বদলাত না। তবুও, বিজেপি-র কাছে তাদের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব ওঠাটাই হয়তো কিছুটা অস্বস্তির। অস্বস্তির সেই কাঁটা সরানোর জন্য আরও অন্তত একটা দিন সময় পেল বিজেপি।
চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এনডিএ ছেড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, মঙ্গলবার পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে আর আলোচনা বা ভোটাভুটি হয়নি। একা টিডিপি নয়, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেসও।
বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই লোকসভায় রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে তাদের জোটশরিকগুলিও। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া যায়, এনডিএ ছেড়ে সকল শরিকই বেরিয়ে গেল, তাতেও বিজেপি-র সরকার চালাতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু, প্রশ্নটা অসম্মানের। অসৌজন্যের। এবং অস্বস্তির। আর সেই পরিস্থিতিটাই চাইছে না বিজেপি। অন্য দিকে, লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ানের ভাবভঙ্গিও খুব একটা ভাল ঠেকছে না তাদের।
আরও পড়ুন: অনাস্থায় আশা নেই, জোটে মন বিরোধীদের
শিবসেনার মতো জোটশরিককে নিয়ে বিজেপি-র আরও সমস্যা। কারণ, টিডিপি-র অনাস্থা প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উঠতেই তারা জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও পক্ষই নেবে না শিবসেনা। তারা নীরব থাকবে। এই ‘নীরব কাঁটা’ও বিজেপিকে ভাবাচ্ছে। তাই এ দিন লোকসভা এক দিনের জন্য মুলতুবি হতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরা আলোচনার জন্য তৈরি আছি।’’
আরও পড়ুন: কুরুক্ষেত্রে ‘কৌরবদের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু রাহুলের
এ দিন শুরুতেই বিরোধীদের তুমুল হইহট্টগোলের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত লোকসভা এবং বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। পরে বেলা ১২টা নাগাদ ফের প্রশ্নোত্তর পর্ব দিয়ে লোকসভা শুরু হয়। কিন্তু, হইহট্টগোল না থামায় গোটা দিনের জন্যই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy