বিদেশনীতির প্রশ্নে ব্যর্থতার আরও একটি মাইলফলক গড়ল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর চলতি ভারত সফরের মূল্যায়ন করে এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মোদীর বিদেশনীতির সমালোচনা শুরু হয়েছে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন স্তর থেকে। কূটনৈতিক শিবিরের একটি বড় অংশ মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ‘দাদাগিরি’র নীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ক্রমশ দূরে সরেছে এ যাবৎ মধুর সম্পর্ক রাখা প্রতিবেশী দেশগুলিও। এ বার ট্রুডোকে চূড়ান্ত অবজ্ঞা করে বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি (ফিপা) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা একধাক্কায় অনেকটাই পিছিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির। অথচ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে চুক্তিটি দ্রুত সেরে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে লড়ছেন দু’দেশের আমলারা।
সপরিবার নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ট্রুডো নামার পর থেকে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন মন্ত্রিসভার কম গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। অথচ গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নিজে বিমানবন্দরে দৌড়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতাইয়াহুকে বুকে জড়িয়ে ধরতে! ট্রুডোর ক্ষেত্রে মোদীর আলিঙ্গন দূরস্থান, ন্যূনতম উষ্ণতাও দেখাননি সরকারের কোনও শীর্ষ নেতা। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ অবশ্য মোদী একটি টুইট করে বলেন, ‘‘আশা করি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ভারত-সফর খুব ভাল কাটছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে, বিশেষত, তাঁর ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’’
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, খলিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে কানাডার বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠতার প্রতিবাদেই এই ‘অবজ্ঞার কূটনীতি’। জানা গিয়েছে, এই মডেলের রূপকার খোদ অজিত ডোভাল। ১৯৮৪ সালে ‘অপারেশন ব্লু-স্টার’-এর সময় স্বর্ণমন্দিরে খলিস্তানি জঙ্গিদের ডেরায় ঢুকে তাদের গোপন তথ্য জানায় যাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু মোদী সরকারের নীতিতে বিরক্ত বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, এ যাবৎ ভারতীয় বিদেশ নীতির এটাই মূল স্তম্ভ ছিল, যে কোনও সমস্যা, সংঘাত অথবা উদ্বেগের ক্ষেত্র তৈরি হলে তা নিরসনের জন্য অন্য রাস্তা খোঁজা। সেটা থাকেনি এ ক্ষেত্রে। ওই কর্তার কথায়, ‘‘এ বারে তো দরজাই বন্ধ করে দেওয়া হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy