হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার।- ফাইল চিত্র।
ঘর সামলে চলাটাই মুশকিল হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর!
তাঁর মেপে কথা বলার পরামর্শ কানে তুলছেন না বিজেপি নেতাদেরই একাংশ।
মোদীর পরামর্শ ভুলে গিয়ে এ বার নমাজ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে হরিয়ানার বিজেপি সরকারকে ফের বেকায়দায় ফেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ফলে নমাজ পাঠ নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়াল হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
শুক্রবারের নমাজ পাঠ নিয়ে আগে যে কথা বলেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, সোমবার প্রায় সেই সুরই শোনা গেল তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য অনিল ভিজের গলায়।
ভিজ বললেন, ‘‘মাঝেমধ্যে চাইলে কেউ নমাজ পড়তেই পারেন। সেই নমাজ পাঠের ধর্মীয় স্বাধীনতা তো আছেই। কিন্তু যে কেউ প্রকাশ্যে যে কোনও জায়গা দখল করে নমাজ পড়তে পারেন না। সরকার এটা চলতে দিতে পারে না।’’
আরও পড়ুন- রাহুলের ‘পরামর্শে’ কান দিলেন না প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন- বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় দুই কাশ্মীরি ছাত্রকে মারধর, হেনস্থা
মজাটা হল, ভিজ সে দিনই এই মন্তব্য করলেন, যে দিন মোদীর মেপে কথা বলার পরামর্শ মেনে চলতে তাঁর ভুল হয়েছে বুঝে নমাজ নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য কিছুটা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। বলা ভাল, ডিগবাজি খেলেন!
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বলেছিলেন, ‘‘খোলা জায়গায়, রাস্তাঘাটে যত্রতত্র নমাজ পাঠের ঘটনা বেড়েই চলেছে। কিন্তু মসজিদ বা ইদ্গায় বসেই নমাজ পড়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাটা সরকারের দায়িত্ব।’’ খট্টর এও বলেন, জায়গার অভাব থাকলে যে কেউ ঘরে বসেই নমাজ পড়তে পারেন।
এর পর বিতর্কের সূত্রপাত হতেই কেন ওই মন্তব্য করেছিলেন, সোমবার তা বোঝাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী খট্টর। বলেন, ‘‘আমি কোনও কিছু (পড়ুন, নামজ পাঠ) বন্ধ করতে বলিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাটা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তব্য।’’
গত দু’সপ্তাহ ধরে গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবারের নমাজ পাঠে দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি বাধা দিয়ে চলেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরের সূত্রেই এই নমাজ বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ, গুরুগ্রামের অন্তত ৬টি জায়গায় শুক্রবারের নমাজ পাঠের সময় বাধা দেওয়া হয়েছে। নমাজ পাঠ বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। নমাজ পাঠে বাধা দেওয়ার সেই ঘটনাগুলি ঘটেছে ওয়াজিরাবাদ, অতুল কাটারিয়া চক, সাইবার পার্ক, বাখতাওয়ার চক ও সাউথ সিটিতে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, ওই জায়গাগুলিতে শুক্রবারের নমাজ পাঠে বাধা দিতে দেখা গিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), বজরং দল, হিন্দু ক্রান্তি দল, গোরক্ষক দল ও শিবসেনার কর্মী, সমর্থকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy