পটনায় এক মঞ্চে মোদী-নীতিশ। ছবি: পিটিআই।
পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ, শনিবার সেখানে গিয়েছেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে জেডিইউ-বিজেপি সরকার গঠনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাজ্য সফরে এলেন মোদী। এ দিন একই মঞ্চে নীতীশের পাশে দেখা গেল তাঁকে।
আরও পড়ুন: লঙ্কেশ খুনে মূল দুই সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ
বিহারের উন্নয়নে নীতীশ যে ভাবে কাজ করে চলেছেন এ দিন মোদীর মুখে সেই প্রশংসাও শোনা গেল। বলেন, “বিহারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নীতীশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর উন্নয়নের প্রতি কেন্দ্র যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। আর বিহার তো আছেই। ২০২২-এর মধ্যে বিহারকে দেশের উন্নত রাজ্যের তালিকায় দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেন মোদী।
তিনি আরও বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান আছে। দেশের যে সব শীর্ষ আমলা রয়েছেন তাঁদের অনেকই এই বিশ্বিদ্যালয় থেকে উঠে এসেছেন।” এ দিন নীতীশ কুমার মোদীর কাছে আর্জি জানান, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা দেওয়া হোক। এই বিষয়টাও দেখবেন বলে নীতীশকে আশ্বাস দেন মোদী। আগামী পাঁচ বছরে ১০টি সরকারি এবং ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলেও এ দিন জানান মোদী। পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ দিন বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথাও রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: প্রণবই যোগ্যতর প্রধানমন্ত্রী হতেন, বললেন মনমোহন
বিহারে বিজেপির হাত ধরে জেডিইউ ক্ষমতায় আসার এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর প্রধানমন্ত্রীর। নীতীশের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি এলেন, বিহারের অগ্রগতির জন্য নীতীশের কাজের প্রশংসা করলেন। এমনকী বিহারকে ২০২২-এর মধ্যে উন্নত রাজ্যের তালিকায় দেখার আশাও প্রকাশ করলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নীতীশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। বিহারে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকেই একটা জল্পনা শুরু হয়, এ বার তা হলে মোদীর মন্ত্রিসভায় নীতীশকে গুরুত্ব দিতে পারেন মোদী। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলে বিস্তর।
মোদীর মন্ত্রিসভার রদবদলের ঠিক আগেই বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসতে শুরু করে, জেডিইউ-কে যে মন্ত্রক দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি, তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন নীতীশ। মোদীর মন্ত্রিসভায় জেডিইউ-এর স্থান হয়নি ঠিকই, কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীতীশের সঙ্গে যাতে দূরত্ব তৈরি না হয় সেই চেষ্টাও করলেন মোদী, মত বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy