উত্তরাখণ্ডে এ বার রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা। সেই বিক্ষুব্ধদের টিকিট দিয়ে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কৌশল নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। বুথ ফেরত সমীক্ষা যদি ঠিক হয়, তা হলে রাহুল গাঁধীর পরাজয়ের নেপথ্যের কারিগর কংগ্রেসেরই দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান নেতা এন ডি তিওয়ারি। দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সেই নেতাকেই এখন ‘ঘরের শত্রু’ মনে করছে কংগ্রেস। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই সে রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার বদলে বিজেপির সরকার গড়ার সম্ভাবনার কথা বলেছে। দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের অবশ্য দাবি, সমীক্ষা যা-ই বলুক, উত্তরাখণ্ডে গত বারের মতো এ বারও সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: সমীক্ষা উড়িয়ে সাহসী মুখ
উত্তরাখণ্ডে ভোটের নির্বাচনের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এন ডি তিওয়ারিকে দলে নিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিওয়ারি তিন বার উত্তরপ্রদেশ ও এক বার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। বর্ষীয়ান এই নেতাকে বিজেপিতে নেওয়া নিয়ে তখন যদিও বিশেষ মাথা ঘামায়নি কংগ্রেস। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষার পরে কংগ্রেসের একাংশের ভিতরে প্রশ্ন উঠেছে, তিওয়ারিকে সামনে রেখে যে চাল অমিত শাহেরা চেলেছিলেন, তা কি অনেকাংশেই খেটে গেল?
ভোটে প্রায় এক ডজন কংগ্রেস বিধায়কের টিকিট কেটে দেন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। এঁদের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের প্রায় সবার সঙ্গেই এন ডি তিওয়ারির সুসম্পর্ক থাকায় তার ফায়দা তুলেছে বিজেপি। বুথ ফেরত সমীক্ষা যদি সত্যি হয়, তা হলে মোদীর কংগ্রেস প্রার্থী বনাম রাহুল গাঁধীর কংগ্রেসের লড়াইয়ে সম্ভবত শেষ হাসি হাসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীই। ৭০ আসনের বিধানসভায় অধিকাংশ সমীক্ষাই কংগ্রেসের চেয়ে বিজেপিকে আট থেকে দশটি আসনে এগিয়ে রেখেছে।
সমীক্ষার ফল বলছে, রাজ্যের কুমায়ুন ও সমতল এলাকার ভোট কংগ্রেসের পক্ষে গিয়েছে। অধিকাংশ সমীক্ষা ওই দুই এলাকার ৪৬টি আসনের মধ্যে ২৪ থেকে ২৬টিতে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে। বিজেপি ওই দু’টি এলাকায় ১৬ থেকে ১৮টি আসন পেয়ে কংগ্রেসের থেকে পিছিয়ে। তবে গাড়োয়ালে ২৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি অন্তত ১৬ থেকে ১৮টি আসন পেতে পারে। বাকি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস। তবে উত্তরাখণ্ডে জয় নিয়ে এখনও আশাবাদী কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy