ভাগ্নের পর এ বার মামাও দাবি করলেন, তিনি কোনও দোষ করেননি।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদী ক’দিন আগেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এ বারে আর এক অভিযুক্ত তথা নীরবের মামা মেহুল চোক্সীও তাঁর সংস্থার কর্মীদের চিঠি লিখে দাবি করলেন, তিনি কোনও দোষ করেননি। গীতাঞ্জলি জেমসের কর্মীদের উদ্দেশে চোক্সী লিখেছেন, ‘‘আমার ভাগ্যে যা আছে, তা-ই হবে। তবে আমি কোনও দোষ করিনি।’’ কর্মীদের বেতন যে তিনি আপাতত দিতে পারবেন না, তা মেনে নিয়ে চোক্সী কর্মীদের বলেছেন, অন্য চাকরি খুঁজে নিন। সান্ত্বনা হিসেবে অফিসের ল্যাপটপ, মোবাইল রেখে দিতেও বলেছেন!
মামা-ভাগ্নের কথায় অবশ্য কান দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। আজ তারা নীরবের পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, এক সপ্তাহ আগে তাঁর পাসপোর্ট সাসপেন্ড করে কেন তা বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নীরবকে ই-মেল করেছিল মন্ত্রক। তার জবাবও আসে। তার পরেই নীরবের পাসপোর্ট বাতিল করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
নীরবের আইনজীবী বিজয় অগ্রবাল বলেন, ‘‘নীরবের বিরুদ্ধে শুধু একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। কোনও আইনি ব্যবস্থা শুরু হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যেতে পারি।’’
আজ নীরব ও তাঁর সংস্থার ২১টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি দাবি করে, এর মূল্য প্রায় ৫২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে আলিবাগের ফার্ম হাউস ছাড়াও, একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আহমেদ নগরে ১৩৫ একর জমি এবং মুম্বই-পুণের অফিস-বাড়ি রয়েছে।
সিবিআই-ইডির লক্ষ্য হল, নীরব-মেহুলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ব্যাঙ্কের পাওনা অর্থের যতটা সম্ভব উদ্ধার করা। মাঝখান থেকে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের সংস্থার কর্মীরা। এর আগে নীরব তাঁর সংস্থার কর্মীদের চিঠিতে জানিয়েছিলেন, সিবিআই-ইডি যে ভাবে তাঁর সংস্থা, ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে, তাতে তাঁর পক্ষে আর বকেয়া মেটানো সম্ভব হবে না। আজ মেহুলও তাঁর সংস্থার ৩,৫০০ কর্মীকে ই-মেলে একই কথা জানিয়েছেন। হায়দরাবাদের এসইজেড-এ চোক্সীর গীতাঞ্জলি গোষ্ঠীর কারখানায় ইডি হানা দিয়েছিল। সেখানে প্রায় ১,২০০ কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে ৭০০ জন প্রতিবন্ধী ও মহিলা।
সংস্থার কর্মীদের ই-মেলে চোক্সীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অন্যায় হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে যে ভাবে লেখালিখি হচ্ছে, রাজনৈতিক আক্রমণ হচ্ছে, তাতে তিনি ও তাঁর পরিবার নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। চোক্সীর আইনজীবী সঞ্জয় অ্যাবটের যুক্তি, ‘‘চোক্সী তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরই নাগাল পাচ্ছেন না। তা হলে কর্মীদের বেতন মেটাবেন কী ভাবে? সেই কারণেই এই চিঠি। তবে সংস্থার সার্ভারও তদন্তকারীরা আটক করেছে। ফলে কত জন এই ই-মেল পাবেন, তারও নিশ্চয়তা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy