যোগী: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শনিবার যোগী আদিত্যনাথ প্রথম বক্তৃতাটি দিলেন গোরক্ষপুরে। ছবি: পিটিআই।
কথা হয়েছিল, বন্ধ হবে বেআইনি কসাইখানা। কাজে দেখা যাচ্ছে, যন্ত্রচালিত বৈধ কসাইখানাও যোগী সরকারের কোপে পড়ছে। উত্তরপ্রদেশে সব রকম আমিষ খাবারের বিরুদ্ধেই অঘোষিত যুদ্ধে নেমে পড়েছে যোগী-রাজ্যের প্রশাসন ও গোরক্ষাপন্থী যুবা বাহিনী।
দিল্লির লাগোয়া এলাকায় পোস্টার পড়ছে, কাছে মাতাজির মন্দির। বন্ধ করো মাংসের দোকান। মেরঠের মেয়র হরিকান্ত অহলুওয়ালিয়া জেলাশাসকের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছেন, বৈধ-অবৈধ প্রশ্ন নয়, মন্দিরের আশপাশে কসাইখানা বন্ধ করতে হবে। লখনউয়ে পুলিশ দোকান থেকে মুরগি তুলে নিয়ে গিয়েছে ব্যবসা ও পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না থাকার কথা বলে। কোপ পড়ছে ডিমেও! পরিস্থিতি এমনই যে, অর্নিদিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘লখনউ মুর্গা মান্ডি সমিতি’ এবং ‘লখনউ মুর্গা বকরা ব্যাপার কল্যাণ সমিতি’। আজ সকাল থেকেই ঝাঁপ বন্ধ ছিল মাংস ও ডিমের দোকানগুলির। মাছ ব্যবসায়ীরাও ধর্মঘটে সামিল হতে পারেন এ বার।
আরও পড়ুন: সাংসদের পাশে নেই শিবসেনা
ফলে লখনউ থেকে দিল্লির লাগোয়া নয়ডা— নিরামিষই ভরসা এখন মানুষের। এই সুযোগে হু হু করে বাড়ছে আনাজের দাম। ফাঁপরে খাবারের দোকান। মোষের মাংস বা ‘বাফ’ না পেয়ে লখনউয়ের বিখ্যাত টুন্ডে কাবাবি ও রহিম নিহারির দোকান চিকেন-মাটন রাখছিল। এ বার ঝাঁপই বন্ধ রাখতে হবে তাদের।
মেরঠের প্রাক্তন মেয়র তথা মাংস ব্যবসায়ী শাহিদ আখলাক জানাচ্ছেন, রাজ্য প্রশাসন সব কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছে। যাঁদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তাঁদেরও। ওই বসপা নেতার কথায়, ‘‘মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যা চলছে, সেটা বেআইনি ও অযৌক্তিক। তাই সবাই মিলে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রশাসন সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।’’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শনিবার যোগী আদিত্যনাথ প্রথম বক্তৃতাটি দেন গোরক্ষপুরে, তাঁর সংবর্ধনা সভায়। এখানকার পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন তিনি। নিজের সরকারের তরফে এ দিন যোগীর আশ্বাস, ‘‘জাতি, ধর্ম, মতাদর্শ, লিঙ্গ— কোনও ক্ষেত্রেই কারও প্রতি বৈষম্য করা হবে না। উন্নয়ন হবে, কিন্তু তোষণ হবে না।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, বৈধ কসাইখানা বন্ধ করবে না সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy