হাফ ছেড়ে বাঁচল জওহরবাগ। মথুরার জওহরবাগ এলাকার প্রায় ১৫০ বাসিন্দা যেন রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছেন। এ যেন গত দু’বছরের যুদ্ধের অবসান হল আরও এক যুদ্ধের মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের পর আপাতত শান্ত এলাকা। এখনও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যুদ্ধের চিহ্ন। কোথাও আধ পোড়া ঝুপড়ি, কোথাও ভাঙা গৃহস্থালির সরঞ্জাম।
শুক্রবার রাতে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে আরও দু’জনকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। আজই এলাকা ও হাসপাতাল পরিদর্শনে আসছেন মথুরার সাংসদ হেমা মালিনী।
সেই ২০১৪-র মার্চ মাসে মাত্র দু’দিনের ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়েছিল স্বাধীন ভারত সুভাষ সেনা ওরফে ভারতীয় সুভাষ সেনা ওরফে স্বাধীন ভারত নামের একটি সংগঠন। কিন্তু দু’দিন কেন দু’বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের আন্দোলন থামানোর কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জায়গা ছাড়া তো দূরের কথা উপরন্তু প্রায় ৩০০ একর সরকারি এলাকা জবর দখল করে এই সংগঠন আক্ষরিক অর্থেই ‘গুন্ডা রাজ’ চালাচ্ছিল গত দু’বছর ধরে।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ-জনতা খন্ডযুদ্ধের পর শেষ হল এতদিনের ‘গুন্ডা জামানা’। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, হঠাৎই এলাকায় এসে জাঁকিয়ে বসেছিল সংগঠনের প্রায় তিন হাজার সমর্থক। তারা নিজেদের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুগামী বলে দাবি করত। এমনকি নিজেদের গুরু তুলসীদাসকে তাঁরা নেতাজি বলেই মানত। শুধু তাই নয়, অদ্ভূতুড়ে সব দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনও করত তারা। পাশাপাশি চলত নিয়মিত অশান্তি। প্রশাসনের তরফে বারবার তাদের এলাকা খালি করতে বলা হলেও কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। গত কয়েক মাস ধরেই তাদের দৌরাত্ম্য উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। অবশেষে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযানে যায় পুলিশ। সেই অভিযানেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মুকুল দ্বিবেদী ও সন্তোষ কুমার নামের দুই পুলিশ অফিসারের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সংঘর্ষের পর মারা যান ২২ জন বিক্ষোভকারী। জখম আরও প্রায় ৭৫-১০০ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৩ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩২০ জনকে।
আরও পড়ুন: এ দিকে মথুরা জ্বলছে, ও দিকে মাঢ় আইল্যান্ডে ‘ড্রিম গার্ল’ শ্যুটিং করছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy