Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

হাতে খাবার, জলের প্যাকেট, মুম্বইয়ে বিপুল অভ্যর্থনা কৃষকদের

মুম্বইয়ে ঢোকার মুখে রবিবার বিপুল অভ্যর্থনা পেয়েছেন মিছিলে হাঁটা কৃষকেরা। এই উদ্যোগ কোথাও ব্যক্তিগত, কোথাও আবার বিভিন্ন অসরকারি সংগঠনের। কোথায় আবার সামিল হতে দেখা গিয়েছে কোনও কোনও ধর্মীয় সংগঠনকেও। ছিলেন পড়ুয়ারাও।

অাজাদ ময়দানে কৃষকদের সমাবেশ। পিটিআই।

অাজাদ ময়দানে কৃষকদের সমাবেশ। পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
ঠাণে শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ১৪:৪২
Share: Save:

কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছেন খাবার হাতে। কারও হাতে আবার জলের প্যাকেট। কোথাও কোথাও দাঁড়িয়ে রয়েছেবড় বড় জলের ট্যাঙ্ক। রবিবার মুম্বইয়ে ঢোকার মুহূর্তে এ ভাবেই মিছিলে হাঁটা কৃষকদের অভ্যর্থনা জানানো হল।কৃষকদের অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তার দু’ধারে দেখা গেল বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াদেরও।

কৃষকদের দাবি একাধিক। এর মধ্যে রয়েছে তাঁদের সম্পূর্ণ ঋণ মকুব, ফসলের ন্যায্য দাম, লাঙল যার-জমি তার, গরিব কৃষক ও খেত মজুরদের জন্য পেনশন ইত্যাদি। আর সেই দাবিতেই সরব বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের কৃষকরা। অসহ্য গরমে ১৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে গত ছ’দিন ধরে মিছিল করেছেন তাঁরা। প্রায় ৫০ হাজার কৃষকের সেই লাল মিছিল রবিবারই পৌঁছে গিয়েছিলমুম্বইয়ে। সোমবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে দেখা করার কথা কৃষক প্রতিনিধিদের। রয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ঘোরাও কর্মসূচিও।

মুম্বইয়ে ঢোকার মুখে রবিবার বিপুল অভ্যর্থনা পেয়েছেন মিছিলে হাঁটা কৃষকেরা। এই উদ্যোগ কোথাও ব্যক্তিগত, কোথাও আবার বিভিন্ন অসরকারি সংগঠনের। কোথায় আবার সামিল হতে দেখা গিয়েছে কোনও কোনও ধর্মীয় সংগঠনকেও। ছিলেন পড়ুয়ারাও।

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ৫০ হাজার কৃষকের জমায়েত, মিছিল পৌঁছল আজাদ ময়দানে

কৃষকদের জন্য লরি বোঝাই করে আনা হয়েছিল খাবার। মুম্বই-নাসিক হাইওয়ের ধারে সেই লরি থেকে চলছিল মিছিলে হাঁটা কৃষকদের জন্য খাবার বিতরণ। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে খাবার ও জলের প্যাকেট সরবরাহ করতে দেখা গেল। কোথাও কোথাও আবার রাস্তার ধারে জলের ট্যাঙ্ক রাখা ছিল, প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় হাঁটা কৃষকদের কথা ভেবে।

ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে এই কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে চিন্তার ভাঁজ শাসক শিবিরের অন্দরে। মহারাষ্ট্র কৃষক সভার উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে শিবসেনা, এনসিপি-র মতো দল।কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার মতে, বিজেপি সরকার ঋণ মকুব নিয়ে হইচই করছে। কিন্তু কৃষকেরা কেন ঋণ শোধ করতে পারছেন না, তার জবাব খোঁজার চেষ্টা করেনি। কৃষক নেতৃত্বের বক্তব্য, ফসলের ন্যূনতম দাম হিসেবে চাষের খরচের দেড় গুণ অর্থ দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। এ-সবের কারণেই প্রতিবাদ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE