ইনস্টাগ্রামে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ফলোয়ার’ ৬৬ লক্ষ। নরেন্দ্র মোদীর ৭২ লক্ষ।
প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক পেজের ফলোয়ার ৪ কোটিরও বেশি। টুইটারে প্রায় ২ কোটি ৯৩ লক্ষ। সেখানে রাহুল গাঁধীর টুইটার ফলোয়ার ২০ লক্ষেরও কম। সংখ্যার হিসেবে মোদীর ধারেকাছে নেই বিশ্বের কোনও নেতাই। বিজেপি নেতাদের দাবি, এ সবই জনপ্রিয়তার নমুনা।
সেই মোদীই গত কাল আইএএস অফিসারদের বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা যেন আত্মপ্রচার না করেন। পালস পোলিও শিবিরের তারিখ জানানো খুব ভাল। কিন্তু দু’ফোঁটা পোলিও খাইয়ে সেই ছবি প্রচার করাটা ঠিক নয়।
শুনে অনেকের মনেই উসখুস করছিল প্রশ্নটা। শনিবার টুইটারে সেটাই খুঁচিয়ে দিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। আজ রাহুল টুইট করেন, ‘লিডিং বাই এক্সাম্পল ইজ ক্লিয়ারলি ওভাররেটেড।’ অর্থাৎ— ‘আপনি নিজে কী করেন?’
প্রশাসনেরই একাংশ বলছে, প্রশ্নটা অবান্তর নয়। মোদী নিজে তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ড ছবি-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে দেন। নিজের ছবি টুইট করেন— কখনও মায়ের পাশে, কখনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাশে। যে বক্তৃতায় আমলাদের উপদেশ দিলেন, তার ছবিও টুইট করেছেন। ২০০৯-এ অ্যাকাউন্ট খোলা মোদীর টুইটের সংখ্যা ১৪,৮০০ ছাড়িয়েছে!
সেই মোদীরই অভিযোগ, জেলা স্তরের অফিসারেরা অধিকাংশ সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকেন। তাই তিনি সমস্ত বৈঠকে মোবাইল নিয়ে ঢোকা বন্ধ করেছেন। আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘অফিসারেরা সাধারণত কাজের অগ্রগতি নিয়েই টুইট করেন। সেটা তাঁদের সাফল্য হতেই পারে। তাকে আত্মপ্রচার বলা ঠিক নয়।’’ কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাহুলকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে টুইট করেছেন, ‘এ সব কথা বলছেন কে?’ চর্চা অবশ্য জারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy