প্রতীকী ছবি।
যত দোষ আবারও জিনসের উপরে পড়ল!
মেয়েরা জিনসের প্যান্ট পরলে নাকি পুরুষদের উত্তেজিত করা হয়। তাই সেই সব মেয়েদের শরীরে পাথর বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া উচিত, যাঁরা জিনসের প্যান্ট পরেন এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেরলের এক খ্রিস্টান ধর্মযাজক। এখানেই থামেননি তিনি। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে জানিয়েছেন, নিজের বাবা-ভাইকে ধর্ষক হয়ে উঠতে প্ররোচিত করেন এই নারীরাই!
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার পুরনো অভিযোগ শুনে শীর্ষ কর্তাকে তাড়াল উবের
গত শনিবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ক্যাথলিক ধর্মযাজক মহিলাদের জিনস, শার্ট, টি-শার্টের মতো পোশাক পরার তীব্র নিন্দা করেন। তাঁর মতে এই ধরনের পোশাক পুরুষদের সুপ্ত বাসনাকে জাগিয়ে তোলে। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন গির্জায় প্রার্থনার জন্য যাই, মনে হয় সেখান থেকে পালিয়ে যাই। কারণ কয়েক জন মহিলাকে দেখি জিনস, ট্রাউজার, শার্ট, টি-শার্ট পরে হাতে মোবাইল নিয়ে সেখানে এসেছেন। এমনকী চুলও বাঁধেন না তাঁরা। এগুলো শুধু নিজেদের দিকে পুরুষদের আকৃষ্ট করার কৌশল। গির্জায় এই ধরনের পোশাক পরে আসার কী মানে, বুঝি না। সেই সব মহিলাদের কাছে আমি জানতে চাই, খ্রিস্টান ধর্ম অথবা বাইবেল কি তাদের পুরুষদের পোশাক পরার অনুমতি দেয়?’’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মহিলাদের সম্পর্কে মারাত্মক একটি মন্তব্যও করে বসেন তিনি। বলেন, ‘‘যে মহিলারা পাপ কাজের জন্য পুরুষদের প্ররোচিত করেন, তাঁদের শরীরে পাথর বেঁধে সমুদ্র ডুবিয়ে দেওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: শহিদকন্যার পাল্টা পোস্টে এ কী বললেন সহবাগ!
মহিলাদের কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন ওই ধর্মযাজক। তাঁর মতে, মহিলাদের সবচেয়ে সভ্য-ভদ্র পোশাক সালোয়ার-কামিজ। ধর্মযাজকের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তাঁর এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ইউটিউব থেকে এই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার দাবি উঠেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে। তাদের দাবি, এই ধরনের মন্তব্য প্রচারিত হতে থাকলে তা দেখে এই ধর্মযাজকের অনুগামীরা মহিলাদের উপর আক্রমণ চালাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy