সিদ্দারামাইয়া ও ইয়েদুরাপ্পা।
বুথফেরত সমীক্ষা তো নয়, যেন ‘শোলে’র জেলার। অর্ধেক এ দিকে, অর্ধেক ও দিকে।
বিজেপি দফতরে দাঁড়িয়ে হেসে বললেন দলের এক নেতা। অমিত শাহ যেমন আজ ফের জানিয়েছেন, কাল ভোটবাক্স খুললে দেখা যাবে বিজেপি কম করে ১৩০টি আসন পাচ্ছে। আত্মবিশ্বাসী ইয়েদুরাপ্পা তো শপথ নেওয়ার জন্য স্টেডিয়ামও বুক করে ফেলেছেন। কাল দিল্লি আসছেন প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে।
আবার একই ভাবে কংগ্রেসও সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছে, তারাও পাচ্ছে ১৩০ টি আসন।
দেবগৌড়ার দলের ভূমিকা তবে কী হবে? প্রশ্ন এখানেই। কেনই বা শনিবার ভোট শেষ হতে দেবগৌড়ার ছেলে কুমারস্বামী হঠাৎ দু’দিনের জন্য চলে গেলেন সিঙ্গাপুরে? আর কেনই বা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া হঠাৎই বলে বসলেন, কোনও দলিতের জন্য গদি ছেড়ে দিতে তিনি প্রস্তুত?
কংগ্রেস ও বিজেপি— উভয় শিবিরেই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দুই দলই তৈরি রাখছে প্ল্যান-এ, প্ল্যান-বি ও প্ল্যান সি। বুথফেরত সমীক্ষা যেমন দ্বিধাগ্রস্ত, তেমনই দলগুলি। প্রত্যেকের প্ল্যান-এ অবশ্যই একার জোরে সরকার গড়া। যেমনটি আজ রাত পর্যন্ত দুই দল দাবি করে আসছে। প্ল্যান-বি হল, সংখ্যাগরিষ্ঠের থেকে অল্প আসন কম পড়লে নির্দল ও বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সরকার গড়া। প্ল্যান সি-তে আসছে দেবগৌড়ার দলের ভূমিকা। ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে সে ছাড়া গতি নেই।
কংগ্রেসের এক নেতা আজ দিল্লিতে বললেন, ‘‘মায়াবতী আগে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সিদ্দারামাইয়ার বদলে কোনও দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী করলে দেবগৌড়ার দল কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারে। তার জন্য মল্লিকার্জুন খড়্গে, জি পরমেশ্বরের মতো বিকল্প নাম তৈরি। সিদ্দারামাইয়া তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেডিএস-এর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে।’’ পরমেশ্বর ইতিমধ্যেই তাঁর দাবি পেশ করে রেখেছেন। খড়্গে বলছেন, হাইকম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপিরও অভিযোগ, চিকিৎসার নাম করে সিঙ্গাপুর গেলেও আসলে কুমারস্বামী কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়েছেন। কংগ্রেসের পাল্টা প্রশ্ন, কথা যখন দেশের মাটিতেই হয়েছে, তা হলে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কী দরকার?
কংগ্রেস বলছে, প্রাপ্ত আসনের নিরিখে পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্যই আজ দলের দুই শীর্ষ নেতা গুলাম নবি আজাদ ও অশোক গহলৌত পৌঁছে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। যাতে কোনও ভাবে বিজেপি গোয়া বা মণিপুরের মতো ‘খেলা’ না খেলতে পারে। যদিও কর্নাটক নিয়ে সমান আত্মবিশ্বাসী বিজেপিও। রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা গুজরাতের মানুষ। এক শীর্ষ নেতা বললেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা এলে বিজেপি একশো ভাগ সরকার গড়ছে। না এলে, দুশো ভাগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy