ফাইল চিত্র।
দল থেকে বহিষ্কার করা কপিল মিশ্রকে। সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেন কেজরীবাল। এ দিনই কেজরীর বাড়িতে বসে মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন তাঁকে নগদ ২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ বরখাস্ত মন্ত্রী কপিল মিশ্র করে আসছেন, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পূর্তমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন সাফ জানিয়ে দেন, কপিল মিথ্যা বলছেন। কারণ, ওই দিন তিনি নাকি কেজরীর বাড়িতেই যাননি। তাহলে বাড়ি গিয়ে তাঁকে ঘুষ দেওয়ার প্রশ্নই বা উঠছে কী করে!
মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘মিথ্যার একটা সীমা থাকা দরকার। ওই দিন আমি কেজরীর বাড়িতেই ছিলাম না। আমি তার প্রমাণও দিতে পারব।’’ কপিলও অবশ্য এ দিন সকালেই লাই ডিটেক্টরের সামনে বসার চ্যালে়ঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আর ওই দিনই বিকেলে কেজরীবালের সামনে আরও একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন, সাহস থাকলে দল থেকে বহিষ্কার করে দেখান।’’ এত জোর গলায় এ কথা বলার কারণও জানিয়েছেন কপিল। তাঁর দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত সমস্ত আপ নেতা-মন্ত্রীদের ফাইল, বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁদের নেওয়া সিদ্ধান্ত, বেআইনি ভাবে টেন্ডার পাশ করানোর মতো যাবতীয় নথি তাঁর কাছে আছে। সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। সেগুলো খতিয়ে দেখে সত্য-মিথ্যা বিচার করে তারপর জনগণই স্থির করবে কে দলে থাকবেন আর কে থাকবেন না, জানান কপিল। কিন্তু এর পরই দলের বৈঠকে কপিলকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: কেজরীকে লাই ডিটেক্টরে বসার চ্যালেঞ্জ কপিলের
সোমবার তাঁর অভিযোগের সমস্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে দিল্লির দুর্নীতিদমন শাখায় হাজির হন তিনি। তিনি ঠিক কথা বলছেন কি না তা প্রমাণ করতে দুর্নীতিদমন অফিসারদের লাই-টেস্ট করতে বলেন। কপিলের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজাল আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন দুর্নীতিদমন শাখাকে।
ঘটনার দু’দিন কেটে গেলেও অরবিন্দ কেজরীবাল এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy