নরেন্দ্র মোদী।
গুজরাতে ‘বড় বাজি’ ধরে বসে আছেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট শেষ করেই তাই ডাকছেন সংসদ। যে কারণে উৎসব মাটি করে নতুন বছরের পয়লা দিনেও সংসদে আসতে হবে সাংসদদের।
নভেম্বর শেষ হতে চলল, সংসদের অধিবেশন নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই সরকারের। কয়েক দিন ধরেই বিরোধীরা তোপ দাগছে, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভয় পেয়েই ভোটের মধ্যে সংসদ পিছোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কালও টুইটে মোদীকে বিঁধেছেন রাহুল গাঁধী। আজও সংসদের অধিবেশনের দিনক্ষণ কেন্দ্র ঘোষণা না-করলেও মন্ত্রীরা জানাচ্ছেন, ১৪ ডিসেম্বর গুজরাতের ভোট শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে পরের বছর ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অধিবেশন হতে পারে। কিন্তু এখন তা ঘোষণা করা হচ্ছে না। কারণ, আজই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দেউলিয়া আইনের সংশোধন চেয়ে একটি অধ্যাদেশ আনার সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রপতিকে।
সরকারের এক শীর্ষ মন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘বছর শেষে সনিয়া ও রাহুল গাঁধী বিদেশে ছুটি কাটাতে যান। এত দিন তাঁরাই সংসদের অধিবেশেন চেয়ে সরব হচ্ছিলেন। এতটাই আন্তরিক হলে ১ জানুয়ারি সংসদ করে দেখান।’’ মন্ত্রীর দাবি, অনেক দলের সাংসদরা এখন তাঁদের বলছেন, গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে ‘বদলা’ নিতে কেন সাংসদদের উৎসবের মরসুমের ছুটি বাতিল করতে বাধ্য করা হচ্ছে! সরকারের মতে, বড়দিনের ছুটি থাকছে চার দিন। আর অতীতেও এমন নজির রয়েছে।
আজ অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘ভোটের সময়ে ভোটারদের সরাসরি যোগাযোগ করার কাজে সকলে ব্যস্ত থাকেন। তাই ভোট আর অধিবেশন যাতে একসঙ্গে না হয়, তার খেয়াল রাখতে হয়। সরকার আবার একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনও চাইছে। আর গুজরাতে আমাদের অনেক ‘বাজি’ ধরা আছে।’’ যা শুনে কংগ্রেস বলছে, এই ‘বাজি’ ধরার মন্তব্যেই স্পষ্ট, গুজরাত নিয়ে কতটা ভয়ে রয়েছে বিজেপি। তারা এখন উৎসবের মধ্যে সংসদ ডেকে সকলের অসুবিধা করতে চাইছে। অথচ অনায়াসে আগের মতো নির্ধারিত সময়েই সংসদ ডাকা যেত।
সরকারের মতে, শীতকালীন অধিবেশনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল রয়েছে। তিল তালাক, যান নিয়ন্ত্রণ, বিচারপতিদের বেতন বৃদ্ধি, দেউলিয়া বিলের সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর আছে। মাথায় ভোটের চিন্তা নিয়ে এ সব হয় না। জেটলি জানান, অধিবেশন পরের বছরে গড়ালেও বাজেট অধিবেশনকেই প্রথম অধিবেশন ধরা হবে। যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা দিয়ে শুরু হবে বাজেট পর্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy