ছবি প্রতীকী।
কাশ্মীরের উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গি অনুপ্রবেশের বড়সড় চেষ্টা রুখে দিল সেনা। সেখানে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৫ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর কাশ্মীরে গত ১৫ দিনে এই নিয়ে অন্তত ৭ বার জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হল। উরি সেক্টরেই এমন ঘটনা ঘটল তিন বার। সেনা অফিসারদের বক্তব্য, জঙ্গিদের এ পারে পাঠাতে পাকিস্তানের সেনার মদত ভীষণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে। গত তিন দিনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা আটকাতে গিয়ে ৭ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। আজ উরির ঘটনার পরে সংখ্যাটা ১২তে পৌঁছল। আর শুক্রবার সেনাবাহিনী ৫ জঙ্গিকে খতম করতেই জয়পুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দাবি করেন, অতীতের সব সরকারের তুলনায় এই মুহূর্তে দেশের সীমান্ত সব থেকে সুরক্ষিত।
সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে এই পরিস্থিতির মধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকায় গোলমাল পাকানোর সবরকম চেষ্টা জারি রয়েছে। এ দিন হুরিয়ত কনফারেন্সের ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উপত্যকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। গোটা উপত্যকায় বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। পকিস্তানের থেকে আর্থিক মদত পেয়ে হুরিয়ত নেতারা কাশ্মীরে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছেন— এই অভিযোগে এনআইএ-র তল্লাশি শুরু হতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা।
টানাপড়েনের মধ্যে জামিয়া মসজিদে শুক্রবারের প্রার্থনারও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, এখানেই হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক সাপ্তাহিক বক্তৃতা দেন। গোটা এলাকাটিতেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত কাল রাত থেকে উমর ফারুককে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, জেকেএলএফ-এর চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিককেও এ দিন আটক করা হয়। এর পরেই শ্রীনগরের সরাই বালা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, বান্দিপোরা, পুলওয়ামা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ও উত্তর কাশ্মীরের সোপরেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy