Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

বিধ্বংসী আরও ৬ যুদ্ধ-চপার পাচ্ছে স্থলসেনা

নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৫ সালেই বায়ুসেনার জন্য ২২টি আপ্যাচি ও গুরুভার বহনে সক্ষম ১৫টি চিনুক হেলিকপ্টার কিনতে তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে রেখেছে। তালিকায় এ বার আরও ছ’টি চপার যোগ হল ডোনান্ড ট্রাম্পের জমানায়।

যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে পারে এই চপার।

যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে পারে এই চপার।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২০
Share: Save:

স্থলসেনার জন্য মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ৬টি আপ্যাচি (এএইচ-৬৪ই) হেলিকপ্টার কিনবে ভারত। আমেরিকা, ইজরায়েল, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি অত্যাধুনিক এই যুদ্ধ-চপার ব্যবহার করে। এর ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার ক্ষমতা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে পারে এই চপার। বিপক্ষের সাধারণ হেলিকপ্টারের সামনে সেনাবাহিনীকে যা অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।

যে কোনও আবহাওয়ায়, এমনকী রাতেও এগুলি নিখুঁত ভাবে আঘাত হানতে পারে শত্রু এলাকায়। গোপনে হানা দিতে পারা, তেলের সুরক্ষাও এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। চার পাখাওয়ালা এই চপার লেসার, ইনফ্রারেড রশ্মি ও অন্যান্য যন্ত্রের সাহায্যে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ‘প্রোকিওরমেন্ট কাউন্সিল’ বৃহস্পতিবার এগুলি কেনার সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ৬টি চপার, তার অস্ত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ ও প্রশিক্ষণ মিলিয়ে খরচ পড়বে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।

নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৫ সালেই বায়ুসেনার জন্য ২২টি আপ্যাচি ও গুরুভার বহনে সক্ষম ১৫টি চিনুক হেলিকপ্টার কিনতে তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে রেখেছে। তালিকায় এ বার আরও ছ’টি চপার যোগ হল ডোনান্ড ট্রাম্পের জমানায়।

আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা দিয়ে ডোকলাম বিতর্কে ভারতের হয়ে মুখ খুলল জাপান

স্টকহলমের একটি গবেষণা সংস্থার হিসেব, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ভারত বিশ্বে পাঁচ নম্বর দেশ ছিল ২০১৬-তে।

আগের বছরের চেয়ে যা ৮.৫% বেশি। তবে প্রতিবেশী বলয়ে উত্তেজনা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে ভারতের দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো এবং যে কোনও হামলা মোকাবিলায় তৈরি থাকতে স্থলসেনার শক্তিবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছে দেশের অগ্রণী প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাগুলি।

তেমনই একটি সংস্থার কর্তা দেব মোহান্তি নয়াদিল্লিতে বলেছেন, ‘‘এই শ্রেণিতে এটাই সেরা। যুদ্ধে এগুলির ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। ফলে দাম নিয়ে দরাদরির বিশেষ জায়গা ছিল না।’’ তবে কেনার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা। একই চপার চাইছে বায়ু ও স্থলসেনা। দুই বাহিনীর জন্যে একই দরপত্রে এগুলি কেনা যেত। তাতে সময় বাঁচত বলে মনে করেন তাঁরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE