মহড়া: আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে নামছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
প্রস্তুতি চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। বাড়ানো হচ্ছিল সড়কের পিচের গভীরতা। আজ সকাল থেকেই ছিল প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা। শেষ পর্যন্ত আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে নেমে পড়ল বায়ুসেনার সি-১৩০জে হারকিউলিস বিমান। শুরু হয়ে গেল সাম্প্রতিক কালে বায়ুসেনার অন্যতম বড় মহড়া।
গত বছরেই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানিয়েছিলেন, দেশের কয়েকটি সড়ককে প্রয়োজনে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে তাঁর মন্ত্রক। কোন সড়কগুলিকে এ কাজে ব্যবহার করা হবে তা স্থির করতে একটি কমিটিও তৈরি করেন তিনি। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের অফিসারেরা জানিয়েছেন, আপাতত ১২টি সড়ককে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার কয়েকটি সড়কও রয়েছে। বায়ুসেনা সূত্রের মতে, লড়াই বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে রানওয়ের বিকল্প হিসেবে এই ব্যবস্থা কাজে লাগানো যেতে পারে। লড়াইয়ের সময়ে শত্রু আগে নিশানা করে বাহিনীর ঘাঁটিকে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে সব এলাকায় উপযুক্ত রানওয়ে পাওয়া যায় না। সেই অবস্থায় এই ধরনের বিকল্প কাজে লাগতে পারে।
গত বছরের মে মাসে এই ধরনের একটি মহড়ায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ছুঁয়ে উড়ে গিয়েছিল মিরাজ-২০০০ বিমান। এ দিনের মহ়ড়ার পরিধি ছিল অনেক বেশি। এই প্রথম সড়কে নামল সি১৩০জে-র মতো মালবাহী বিমান। তা থেকে নেমে গোটা এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করলেন গরুড় কম্যান্ডোরা। তার পর দফায় দফায় ১৫টি যুদ্ধবিমান এসেছে সেখানে। কয়েকটি স়ড়ক ছুঁয়ে ফের উড়ে গিয়েছে। কয়েকটি উড়ে গিয়েছে সড়কের প্রায় উপর দিয়েই। তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল। বায়ুসেনার ঘাঁটির মতোই হাজির ছিল উদ্ধারকারী ও আপৎকালীন পরিষেবা ব্যবস্থার দলও।
বায়ুসেনা জানিয়েছে, আরও বেশ কয়েক বার এই ধরনের মহড়া চালানোর কথা ভাবছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy